আফগানিস্তানকে ১৩৫ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে যে উইকেটে খেলা হয়েছে, এদিনও সে উইকেটেই খেলা হচ্ছে। রাজীব গান্ধীর এই উইকেটটি ব্যবহার হওয়ায় আজ আগের চেয়ে আরও স্লো হয়ে গেছে। রান সংগ্রহ করাটা একটু কঠিন। তবে এখানে ১৬০ বা তার বেশি করতে পারলে লড়াই করা যেত। তবে ১৩৪ রানে গুটিয়ে যেতে হবে এটা অপ্রত্যাশিত।
প্রথম দশ ওভারে তিন উইকেটে ৮১ রান সংগ্রহের পর মনে হয়েছিল চ্যালেঞ্জিং স্কোর হবে। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পর, রশিদ খানের তৃতীয় ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলাটা ছিল লজ্জাজনক। মূলত এসব কারণেই সুযোগ থাকা সত্ত্বেও চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়া সম্ভব হয়নি টাইগারদের।
মঙ্গলবার ভারতের দেরাদুনের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ দল। আগে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ দল।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ওপেনার তামিম ইকবাল। এছাড়া ২২ রান করেন মুশফিকুর রহিম। শেষ দিকে মাত্র ১৪ বলে ২১ রান করেন আবু হায়দার রনি।
প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ায় এদিনের খেলাটি বাংলাদেশ দলের জন্য সিরিজ বাঁচানোর লড়াই ছিল। ট্রফির লড়াইয়ে ফেরার ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ দল।
স্কোর বোর্ডে মাত্র ১ রান জমা করতেই ফিরে যান ওপেনার লিটন কুমার দাস। শাপুর জাদরানের গতির বলে রশিদ খানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
মাত্র এক রানে নেই ১ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যাওয়া দলকে খেলায় ফেরাতে একটু বেশি আক্রমণাত্মক খেলেছেন সাব্বির রহমান রুম্মন। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যাওয়া রুম্মন ফেরেন মাত্র ১৩ রানে। ৯ বলে তিন চার হাঁকান বাংলাদেশ দলের এই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান। দলীয় ৩০ রানে সামিউল্লাহ সেনোয়ারিকে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে মোহাম্মদ নবীর হাতে ধরা পড়েন সাব্বির।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রথম বলেই ফিরে যাওয়া তামিম এদিন বাড়তি দায়িত্বশীল। দেখে শুনে ব্যাট চালাচ্ছেন দেশসেরা এ ওপেনার। তিনি উইকেটের এক প্রান্তে হাল ধরে রাখলেও অন্য প্রান্তে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিক।
৯.৫ ওভারে দলকে ৭৫ রানে পৌঁছে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। মোহম্মদ নবীর বলে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হন বাংলাদেশ দলের উইকেটকিপারকাম ব্যাটসম্যান। তার আগে ১৮ বলে ২২ রান করেন মুশফিক।
মুশফিকুর রহিমের বিদায়ের খানিক ব্যবধানে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলীয় ৯৩ রানে করিম জানাতের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৮ বলে ১৪ রান করেন রিয়াদ।
ইনিংসের ১৬ তম ওভারের প্রথম বলে রশিদের গুগলিতে বিপদগ্রস্ত সাকিব আল হাসান। ইনিংসের শুরু থেকে বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়া তামিম ইকবালও রশিদের গুগলির শিকার। তার আগে ৪৮ বলে ৪৪ রান করেও এ ওপেনার।
সাকিব-তামিমের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ফিরে যান তরুণ ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক। পরপর দুই বলে ২ উইকেট (তামিম-মোসাদ্দেক) শিকার করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও তৈরি করে ছিলেন রশিদ খান। তবে সেই সুযোগ তাকে দেননি আবু হায়দার রনি।
আফগানিস্তানের এই লেগ স্পিনারের এক ওভারেই তুলে নিলেন, সাকিব, তামিম এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের উইকেট।
অথচ সিরিজ শুরুর আগ থেকেই এই রশিদ খানকে নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। টাইগাররা বলেছিলেন, রশিদ নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন নন! কিন্তু সেই রশিদ খানের গুগলিতেই শেষ সব স্বপ্ন।
শেষ দিকে মাত্র ১৪ বলে দুই ছক্কা এবং এক চারের সাহায্যে অপরাজিত ২১ রান করেন পেস বোলার আবু হায়দার রনি। আফগানিস্তানের হয়ে চার ওভারে মাত্র ১২ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন রশিদ খান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন