আফগানিস্তানে দূতাবাস বন্ধ করল ইউরোপের যেসব দেশ
ঝড়ের গতিতে আফগানিস্তানের ১৮টি প্রাদেশিক রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে তালেবান। তালেবানের হাতে দ্রুত কাবুলের পতন হতে পারে এমন আশঙ্কার মধ্যে দেশটিতে দূতাবাস আপাতত বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের একাধিক দেশ। দূতাবাস খালি করার তোড়জোড় শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যও।
শুক্রবার ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেপ্পে কফোড জানান, কাবুল দূতাবাসের কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস বলেন, নিজেদের দূতাবাসের কার্যক্রম খুবই সীমিত করে ফেলেছে বার্লিন।
একইদিন কাবুলের নিজেদের দূতাবাস সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে নরওয়ে। সেইসঙ্গে নিজেদের সব কর্মী প্রত্যাহারের কথা জানায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ইউরোপের আরেক দেশ ফিনল্যান্ডও ঘোষণা দিয়েছে যে কাবুল নিজেদের দূতবাসে থাকা ১৩০ কর্মী দ্রুত সরিয়ে নিচ্ছে। অন্যদিকে আফগানে থাকা ফরাসি নাগরিকদের দ্রুত সরে যেতে ফের আহ্বান জানিয়েছে ম্যাক্রোঁ সরকার।
এদিকে তালেবান হামলায় চরম নিরপিত্তাহীনতায় থাকা ২০ হাজার আফগান শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন কানাডা। কানাডার অভিবাসনমন্ত্রী মার্কো মেনডিসিনো শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন।
দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আগস্টেই প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শেষ করবে দেশটি। এর মধ্যেই তালেবান দেশের প্রায় অর্ধেকের বেশি জেলার দখল নিয়ে নিয়েছে।
তালেবান ৬ জুলাই প্রথম কোনো প্রাদেশিক রাজধানী দখলে নেয়। এর পর থেকে ঝড়ের গতিতে এগিয়েছে গোষ্ঠীটি। যদিও এখন পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বা সরকারের ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা জনসম্মুখে বেদখল হয়ে যাওয়া প্রাদেশিক রাজধানীগুলোতে তালেবানের নিয়ন্ত্রণের স্বীকৃতি দেননি।
তবে সরকারি বাহিনী এবং তালেবানের তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে কান্দাহার এবং হেরাতের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া গোষ্ঠীটির জন্য টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন