আবারো মসনদে বসতে তরুণ ভোটারেই আ.লীগের আস্থা
টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে জনগণ আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দেবে বলে মনে করছে দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাদের ধারণা, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবীণদের চেয়ে নবীনদের ভোট বেশি পাবে আওয়ামী লীগ। তাই তরুণ ভোটারদের প্রতিই আস্থা রাখছে দলটি।
এরই মধ্যে একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে আওয়ামী লীগ। দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে এমনটাই জানিয়েছেন দলের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি, সদস্য সংগ্রহ অভিযান, দপ্তরের সাফল্যসহ নানা ইস্যুতে কথা বলেন তিনি।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলের প্রস্তুতি কতটুকু- এমন প্রশ্নের জবাবে গোলাপ বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলো সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তৃণমূল নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। তারা নির্বাচন চায়। আমাদের নেতাকর্মীরা এবার সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধভাবে বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে আসবে এবং তৃণমূল থেকে এরকম একটা সাড়া আমরা ইতিমধ্যেই পেয়েছি।
‘আমাদের টিম প্রতিটি জেলা, উপজেলা, মহল্লায়, ইউনিয়নে গিয়ে গিয়ে আমাদের সরকার এবং বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলছে। আমরা আমাদের উন্নয়নে কথা বলছি, আমাদের অগ্রগতির কথা বলছি, আমরা বিগত সরকারের সাথে তুলনা করছি। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের উন্নয়নের সাথে আমাদের উন্নয়নের তুলনা করলে দেখা যায় তুলনামূলকভাবে আমাদের উন্নয়ন অনেক অনেক বেশি এবং তা জনগণকে বুঝানোর চেষ্টা করছি। জনগণ বুঝে, জনগণ খুশি এবং নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল।’
জনগণ আগামীতে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী, বিগত যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে এবার আমাদের জনগণ, তৃণমূল নেতাকর্মী উজ্জীবিত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে, খুব ভালো নির্বাচন হবে এবং ইনশাল্লাহ বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় হবে।
নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযানে অগ্রগতি প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় এ নেতা বলেন, খুবই ভালো অগ্রগতি এবং আমরা অসাধারণ সাড়া পেয়েছি। সদস্য সংগ্রহ অভিযানে প্রতিটা বিভাগে, প্রতিটি জেলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে যাওয়া হয়েছে। কয়েকটি জেলায়, কয়েকটি বিভাগে তার সাথে আমারও যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। সেখানে দেখেছি নেতাকর্মীদের আগ্রহ। তারা সদস্য হতে চায় এবং সেখান যারা তরুণ, নতুন প্রজন্ম তাদের আগ্রহ খুব বেশি। যারা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ সেই তরুণদের মাঝে আমরা যে আগ্রহ দেখেছি, যে সহযোগিতা পেয়েছি, তারা যেভাবে আমাদের দিকে এগিয়ে এসেছে, সাড়া দিয়েছে, আমার খুবই আশাবাদী।
‘আমার মনে হয় আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকার পক্ষে, ডিজিটাল বাংলাদেশের পক্ষে তরুণরাই ভোট দেবে। আমরা যে ভিশন নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, জননেত্রী শেখ হাসিনা যে ভিশন জাতির সামনে দিয়েছেন, আমার মনে হয় তরুণরা তা লুফে নিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন-অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করেছি, মহাকাশ বিজয় করেছি। তরুণরা এটা আরও বেশি পছন্দ করেছে।’
দেশে ডিজিটালাইজেশনের ৭৫ শতাংশ শেষ সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমার মনেহয় সারা দেশ ডিজিটালাইজড বলা চলে, আমরা আশাবাদী ২০২০ সালের মধ্যেই সারা বাংলাদেশ ডিজিটালাইজড হয়ে যাবে। যেখানে তরুণদের আগ্রহ, তরুণরা পছন্দ করে, যেখানে কর্মসংস্থান আছে, তরুণদের ভবিষ্যতে আছে, চাকরির নিশ্চয়তা আছে , সেখানেই তরুণরা ভোট দেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তরুণরা বিশ্বাস করে দেশ ডিজিটালাইজড হচ্ছে এবং তাদের কর্মসংস্থান এদেশে হচ্ছে। প্রজন্ম আমাদের সাথে আছে। আগামী নির্বাচনে প্রবীণদের চেয়ে নবীনদের ভোট বেশি পাবো বলে আমরা বিশ্বাস করি।
দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজের কাজের সাফল্যর বিষয়ে ড. আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, দপ্তরের সাফল্য নিয়ে সাংবাদিক বন্ধুরা এবং আমাদের সাধারণ নেতাকর্মী যারা নিয়মিত অফিসে আসেন তারাই ভালো বলতে পারবেন। তারা বিচার করে দেখবেন কতটা অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে পেরেছি, কতটা ভালো করতে পেরেছি।
‘আমাদের অফিস আমরা সম্পূর্ণভাবে ডিজিটালাইজড করেছি, ওয়াইফাই রয়েছে। এখানে আইটি রুম আছে, প্রতিটা রুমে কম্পিউটার আছে। সাংবাদিকদের জন্য আলাদা আইটি রুম আছে। তারা যে কোনো সময় তা ব্যবহার করতে পারেন। আমি মনে করি শেখ হাসিনা যে ভিশন দিয়েছেন, তার সাথে এই অফিস সম্পূরক বলা যায়।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন