আমদানিনির্ভরতা কমাতে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে : শিল্পমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, সার আমদানিনির্ভরতা কমাতে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রকল্পটির কাজ প্রায় ৮০ শতাংশ সমাপ্ত হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে দেশের অভ্যন্তরীণ ইউরিয়া সারের চাহিদা মেটাতে এবং সুলভমূল্যে কৃষকদের নিকট সার সরবরাহ নিশ্চিত করতেও এটি ভূমিকা রাখবে।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) নরসিংদীর পলাশে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটি পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে মন্ত্রী প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান শাহ্ মোঃ ইমদাদুল হক, প্রকল্প পরিচালক রাজিউর রহমান মল্লিক, দাতা সংস্থার প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে দেশের মানুষ সার, বিদ্যুৎ, খাদ্যের দাবিতে রাস্তায় নামলে তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আর এখন শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হয়েছে। কৃষিতে সার, সেচসহ চাষের উপকরণ কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ায় দেশ বর্তমানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বৈশ্বিক মহামারি করোনার মধ্যে দেশের মানুষের খাদ্যের কোনো অভাব হয়নি। উপরন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা, অর্থ ও খাদ্য সহায়তার ফলে জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। জনগণের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে মুনাফাখোর ও কালোবাজারীরা যাতে সার কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে মাঠ প্রশাসনকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার্ষিক ৯ দশমিক ২৪ লাখ মেট্রিক টন সার উৎপাদনের লক্ষ্যে নরসিংদী জেলার ঘোড়াশালের পলাশ ইউরিয়া সার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন