আমরা ছোট, হয়তো চড় দেবেন, কিন্তু দাবি একটাই…

রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে কয়েক দফায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় অবস্থান নেয়। গোল চত্বরে হারুন মোল্লা ট্রাফিক পুলিশ কন্ট্রোল রুমের নিচে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শুরুতে ৩০ থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী অবস্থান নেয়। পরে সেই সংখ্যা বাড়ে। জুমার নামাজের বিরতির পর শিক্ষার্থীরা আবার সড়কে অবস্থান নেয় এবং শনিবার সকাল থেকে একই জায়গায় আবারও অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেয়। বাসসহ কোনো ধরনের যানবাহন চলাচলে তারা বাধা দেবে না বলে জানায়। খবর প্রথম আলো’র।

শুক্রবার বলে শিক্ষার্থীদের পরনে স্কুলের নির্ধারিত পোশাক ছিল না। তবে গলায় আইডি কার্ড ঝোলানো ছিল। স্কুলের চেয়ে কলেজ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই ছিল সংখ্যায় বেশি। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ভাষানটেক কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড শিক্ষার্থীদের গলায় ঝোলানো ছিল। হাতে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ছিল। জুমার নামাজের বিরতির পর বেলা তিনটার দিকে আবারও শিক্ষার্থীরা রাস্তায় অবস্থান নেয়। ওই সময় শিক্ষার্থীদের সুশৃঙ্খলভাবে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায়। তারা চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করছিল। মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট পরার পরামর্শ দিচ্ছিল।

অবস্থান কর্মসূচিতে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির আইডি কার্ড ঝোলানো এক ছাত্র বলেন, ‘আমরা কারও শত্রু না। আমরা কারও বিরুদ্ধে নই। আমরা সরকারের বিপক্ষে নই। সড়ক নিরাপদ করার দাবি নিয়েই শুধু এসেছি। আস্তে আস্তে দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে, একটা পদক্ষেপের দিকে যাচ্ছে। আমরা ছোট মানুষ, আমাদের হয়তো দুটা চড়-থাপ্পড় দেবেন, মার দেবেন—আর তো কিছু না। দাবি একটাই, আমাদের চলাচল নিরাপদ করা। নিরাপদ সড়ক চাই। কাল ১০টায় একই জায়গায় আবার আমরা জড়ো হব। সবাই ইউনিফর্ম পরে আসব।’

শিক্ষার্থীরা জানায়, বাসসহ কোনো যানবাহন চলাচলে তারা বাধা দেবে না। আজ পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তারা সহযোগিতা পেয়েছে। পুলিশ লাঠিপেটা করেনি বা বাধা দেয়নি।

গোল চত্বরে হারুন মোল্লা ট্রাফিক পুলিশ কন্ট্রোল রুমের কাছে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট নুরুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে সহিংসতা নেই। বিশৃঙ্খলাও নেই। ওরা (শিক্ষার্থী) এক পাশে ছিল। ওরা আমাদের সঙ্গে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করেছে।’