আমরা নারী, আমরাও পারি- ইয়াসমিন
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বৈলাম গ্রামের নারীনেত্রী ইয়াসমিন আক্তার। হাটি হাটি পাপা করে গড়ে তুলেছেন “বঙ্গমাতা ” সমিত নামে একটি সংগঠন।
মাত্র ২১ জন সদস্য নিয়ে তিনি কাজ শুরু করেন। নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য তিনি গড়ে তুলেন শেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এই কেন্দ্র থেকে প্রায় শতাধিক নারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে কর্ম সংস্থানে জরিত করেন। এর মধ্য তিনি প্রধান্য দিতেন বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারীদের। পরে বিবাহিত নারীদের মাঝে বিভিন্ন স্থানে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে বঙ্গমাতার সভাপতি নামে সু পরিচিত বটে।
আওয়ামীলীগের রাজনৈতিকের সাথে জরিত হয়ে যান। কিছু দিন পর আবার তিনি বিউটি পার্লার স্থাপন করে এখানেও প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। দিরে দিরে ব্যাপক সুনাম অর্জিত হয়। কিছু দিন পর বঙ্গমাতা সংগঠনের সদস্যদের দাবী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী হওয়া।
তিনি বঙ্গমাতার প্রতিশ্রদ্ধা জানিয়ে ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে প্রচার চালিয়ে যান। নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ি হয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ পরিচালনা করেন। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াসমিন আক্তার একটি সুপরিচিত মুখ ও সাদা মনের মানুষ বটে।
সুনামগঞ্জ-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এর হাত ধরে আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক দলের সাথে জরিত হয়ে তিনি ধর্মপাশা উপজেলা যুব মহিলালীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইংরেজী তারিখ প্রতিবেদকে জানান, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকারের ১৫ বছর উন্নয়ন নিয়ে বিশাল জনসভা অনুষ্টিত হইবে। এতে আমি আমার সংগঠন ও উপজেলা যুব মহিলালীগের উদ্যোগে কয়েক হাজার নারী নিয়ে ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে জনসভায় অংশ গ্রহণ করব ইনশাল্লাহ।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নারীনেত্রী ইয়াসমিন আক্তার কয়েক হাজার নারীনিয়ে আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন নিয়ে বিশাল জন সভায় অংশ গ্রহণ করেন। তিনি আরও বলেন, নারীরা পিছেয়ে নয়, এগিয়ে আসে, এগিয়ে আসবে, আমরা নারী, আমরাও পারি, সকল কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ করা। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় হোক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন