আমার মৃত্যুর জন্য শামীম দায়ী, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে, আমার মৃত্যুর জন্য শামীম দায়ী- এমন স্ট্যাটাস দিয়ে নেত্রকোনার মদন উপজেলার এক অনার্সের শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তার নাম সাব্বির আহাম্মেদ। তিনি ঢাকা বাংলা কলেজের অনার্সের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
সাব্বির মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের আগপাড়ার রফিক মিয়ার ছেলে। সোমবার বিকাল ৪টার দিকে ময়মনসিংহের কলেজ রোড রেল ক্রসিং এলাকায় ছাত্রাবাসে সিলিং ফ্যানে ঝুুলিয়ে আত্মহত্যা করেন।
মৃত্যুর আগে যে স্ট্যাটাসটি দিয়েছিল সাব্বির তা হুবহুব তুলে ধরা হলো, আমার মৃত্যুতে কাউকে দায়ী করতে যাবেন না,শুধু জেরিনের বড় ভাই শামীম ছাড়া। আমার এই পরিনতির জন্য সম্পূর্ণ দায়ী শামীম। আমার জেরিনকে ব্যাকমেইল করে আমার থেকে দূরে সড়িয়েছে। আমি চাই আমার লক্ষীটা সব সময় ভালো থাকুক। আম্মু-আব্বু আমাকে ক্ষমা কওে দিও। তোমাদের কথা রাখতে পারলাম না।
এ দিকে সাব্বিরের চাচা ওয়াসিম মিয়া যুগান্তরকে জানান, আমার ভাতিজা জেরিন নামে একটি মেয়েকে ভালবাসত। আমার ভাই ভাবী জেরিনদেও বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিল। কিন্ত তাদের পরিবার বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। এমনকি তারা তাদেরকে অপমান করেছে। এর পরেও গতকাল মেয়েটি পার্কে দেখা করতে আসার কথা ছিল। কিন্ত জেরিনের ফোনটি বন্ধ করে তার বড় ভাই শামীম পার্কে এসে সাব্বিরকে অপমান করেছে। হয়তো বিষয়টি সাব্বির সহজভাবে মেনে নিতে পারেনি। এর জন্যই আজ আমার ভাতিজা আত্মত্যার বিষয়টি বেচেঁ নিয়েছে।
ময়মনসিংহ মডেল থানার উপ- পরিদর্শক সাদ্দাম হোসেন জানান, ত্রিপল নাম্বারের ফোনে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসলে কলেজ ছাত্রের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাই। তার লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করার জন্য পাঠানো হয়েছে। পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন