আমার রাজনৈতিক আদর্শ ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’

ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকে জয়ী এমপি গণফোরাম থেকে সদ্য বহিষ্কৃত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেছেন- আমার রাজনৈতিক আদর্শ ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’। আমি গণফোরামের কেউ ছিলাম না, এখনো নেই। আমি আওয়ামী লীগের কর্মী। নির্বাচনের সময় একটি নিবন্ধিত দলের সদস্যপদ নিতে হয়। নির্বাচন করার স্বার্থে আমি আমার চিন্তার কাছাকাছি দল হিসেবে গণফোরাম থেকে সদস্যপদ নিয়েছিলাম। এটি শুধু নির্বাচনের কারণে এবং নিয়মরক্ষার জন্য করেছি। তারা আমাকে সে সুযোগ করে দেয়ায় আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

তিনি আরও বলেন- আমাকে বহিষ্কার করার কি আছে, আমি তো তাদের কেউ না, ছিলামও না। আমি জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার একজন প্রতিনিধি হিসেবে যুক্ত ছিলাম। দেশের মানুষ আমাকে যে পরিচয়ে এতকাল ধরে চেনে আসছে সে অনুযায়ী আমি জনগণের কথা বলার জন্য সংসদে এসেছি।

বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে সংসদে এক অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি বলেন, অপ্রিয় হলেও সত্য এই সংসদে আজ যারা আছেন তারা একই জোটের পক্ষ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। আমিই বোধ হয় একজন নীলমনি-এই জোটের বাইরে অন্য জোটের পক্ষ থেকে নির্বাচিত হয়েছি।

তিনি বলেন, শত প্রতিকূলতার মধ্যেও নির্বাচনী এলাকার মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসেছি। সরকারপ্রধান হিসেবে সংসদ নেতাকে ধন্যবাদ জানাই, অন্তত আমার নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনে সেইভাবে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। অন্য কোথাও ঘটেছে- না ঘটেছে, তা অন্যদের বিবেকের আদালতে নিজেরাই বলতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই শেষ পর্যন্ত শপথ নেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।

জাতীয় সংসদে স্পিকারের কার্যালয়ে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান।

সকালে শপথ নিলেও বিকালে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করায় গণফোরাম থেকে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদকে বহিষ্কার করা হয়। এমনকি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

এরপরপরই সংসদ অধিবেশনে যোগ দেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।

এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয় জাতীয় সংসদের বৈঠক। তখনই তাকে দেখা যায় অধিবেশন কক্ষে।

স্পিকারের আসনের বাম পাশে বিরোধী দলের আসনের দ্বিতীয় সারিতে সুলতান মনসুরকে আসন দেওয়া হয়েছে।