‘আমি আল্লাহর সীমাহীন রহমত পাচ্ছি’
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আল্লাহর রহমত সীমাহীন এবং সেই রহমত আমার উপরে তিনি দু’হাতে বর্ষণ করেছেন।বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদে দ্বাদশ ও একটানা ১০ম বারের মতো বাজেট পেশ করতে এসে সূচনা বক্তব্য তিনি একথা বলেন।মুহিত বলেন, ‘আমি আমার ৮৫ বছর বয়সে বাজেট প্রণয়নের মতো একটি কঠিন কাজ করতে পেরেছি।
এজন্য আল্লাহ’তায়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। তিনি আমাকে আমার দ্বাদশ বাজেট সংসদে পেশ করার সুযোগ দিয়েছেন।’
পরে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদ ও ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণ করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছেন। আমাদের টার্গেট হলো ২০৪১ সালে আমরা হব সুখী, সমৃদ্ধ একটি উন্নত দেশ। ২০১১ থেকে ২০২০ পর্যন্ত বিস্তৃত আমাদের দু’টি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার ছকমত ঈপ্সিত পথে অগ্রসর হচ্ছি। একবিংশ শতাব্দীতে এ যাবৎ আমাদের গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬.৬ শতাংশ এবং বিগত ২ বছর ধরে এ প্রবৃদ্ধির হার হয়েছে ৭ শতাংশের ঊর্ধ্বে।’
তিনি বলেন, ‘চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাময়িক হিসাবে আমাদের প্রবৃদ্ধি হবে ৭.৬৫ শতাংশ। আমরা এখন এই মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে ‘রূপকল্প ২০২১-২০৪১’ প্রণয়নের কাজ শুরু করেছি। এ ছাড়া একটি সমন্বিত দীর্ঘমেয়াদি ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা, ২১০০’ এর খসড়াও আমরা প্রণয়ন করছি। সারা পৃথিবী ইতোমধ্যে আমাদের সফল উন্নয়ন কৌশল ও কার্যক্রমের স্বীকৃতি দিয়েছে।’
মুহিত বলেন, ‘দারিদ্র্যমুক্ত ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নের পুরোপুরি বাস্তবায়নে আমাদের পাড়ি দিতে হবে আরও খানিকটা পথ। বিপুল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি ও দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রমে আরও গতি সঞ্চার করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি একটি ধারাবাহিক ও দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। ‘রূপকল্প ২০২১’-এর ধারাবাহিকতায় ‘রূপকল্প ২০৪১’ এ আমরা তার রূপরেখাই তুলে ধরছি। আমার বিশ্বাস ‘রূপকল্প ২০২১’ এর মত ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নের সুযোগ দিয়ে দেশের সর্বস্তরের জনগণ আমাদের পাশে থাকবেন।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন