‘আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি, তোমরা আমার জন্য কোনো চিন্তা করো না’

‘আমি ইসলামধর্ম গ্রহণ করেছি। ময়মনসিংহের একটি মাদ্রাসায় ইসলাম শিখতে এসেছি। আমি ভালো আছি, তুমি ভালো থেকো।’- এভাবেই মোবাইল ফোনে নিজের হদিস জানিয়েছে গফরগাঁও উপজেলা থেকে নিখোঁজ হিন্দু কিশোরী মিতু রানী দাস (১৫)।

উপজেলার যশরা গ্রামের বাসিন্দা মালয়েশিয়া প্রবাসী রাখাল চন্দ্র দাসের মেয়ে মিতু এবার শিবগঞ্জ বিদাস উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছে।

গত ১৪ মে সকালে শিবগঞ্জ হুরমত উল্লাহ কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর থেকে সে নিখোঁজ রয়েছে।

এর পর দুদিনেও মেয়েকে না পেয়ে তার মা বীণা রানী দাস ১৬ মে গফরগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

এর পর ওই রাতেই মিতু তার মোবাইল ফোন থেকে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সান্ত্বনা জানিয়ে বলে সে ভালো আছে।

মিতুর মা বীণা রানী দাস বলেন, আমার মেয়ে গত ১৬ মে ফোন করে বলে- আমি ইসলামধর্ম গ্রহণ করেছি। আমি ময়মনসিংহের একটি মাদ্রাসায় আছি। আমি ভালো আছি, তুমি ভালো থেকো।

এর পর থেকে মিতুর স্বজনরা তার সন্ধানে ময়মনসিংহের বিভিন্ন মাদ্রাসায় খোঁজখবর করেন। এ ছাড়া পুলিশকে মিতুর ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন নম্বরও দেন। তবে পুলিশ এখনও তার খোঁজ পায়নি।

বুধবার দুপুরে গফরগাঁও থানার ওসি আবদুল আহাদ খান বলেন, নিখোঁজ কিশোরী মিতু রানী দাসের সন্ধানে পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ-ডিবি কাজ করছে।

তিনি জানান, মিতুর ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন ট্রাক করে তার অবস্থান জানার চেষ্টা করলেও পুলিশ ব্যর্থ হয়। কারণ দুটি ফোনই বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।

তার পরও মিতুকে খুঁজে পাওয়ার জন্য পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান ওসি আবদুল আহাদ খান।