‘আমি খুব ভালো মধ্যস্থতাকারী’
সম্পদে সমৃদ্ধ বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরের দীর্ঘদিনের সঙ্কট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করতে প্রস্তুত আছে। ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন। দক্ষিণ চীন সাগরের বেশির ভাগ এলাকার মালিকানা দাবি করে বেইজিং।
রোববার ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে এক বৈঠকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ট্র্যান দাই কুয়াংকে এসব কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘যদি মধ্যস্থতা অথবা মধ্যস্থতায় সহায়তার প্রয়োজন হয়; তাহলে আমাকে জানাবেন… আমি খুব ভালো একজন মধ্যস্থতাকারী।’
দক্ষিণ চীন সাগরের মূল্যবান পানিপথ নিয়ে চীনের সঙ্গে ভিয়েতনামের দ্বন্দ্বে দীর্ঘদিন থেকেই ওয়াশিংটনের সমর্থন পেয়ে আসছে হ্যানয়। বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক ঘাঁটি ও কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করেছে বেইজিং। দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা চীন দাবি করলেও ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই ও তাইওয়ানও একই দাবি করে।
রোববার ভিয়েতনামে সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। সেখানে তিনি দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে চীন সাগরের একটি এলাকায় তেল অনুসন্ধান প্রকল্প স্থগিত করে ভিয়েতনাম। এই প্রকল্প স্থগিতের জেরে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয় বিবাদমান পক্ষগুলোর মধ্যে। ওই সময় কমিউনিস্ট শাসিত প্রতিবেশি চীনের নেতাদের চাপের মুখে ভিয়েতনাম ওই প্রকল্প স্থগিত করেছে বলে খবর প্রকাশিত হয়।
২০১৪ সালে ভিয়েতনাম উপকূলে একটি প্রকল্পে তেল উত্তোলন শুরু করে। এ ঘটনার জেরে দেশটির বিভিন্ন শহরে সহিংস প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে। সংক্ষিপ্ত সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বর্তমানে হ্যানয়ে আছেন। যুদ্ধকালীন আমেরিকার সাবেক শত্রু এই দেশটির সঙ্গে পারস্পরিক সেনা সহযোগিতা সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়টি এগিয়ে নিতে পারেন তিনি।
রোববার আরো পরের দিকে ট্রাম্প তার ম্যারাথন এশিয়া সফরের শেষ গন্তব্য ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় পৌঁছাবেন। বিশ্ব বাণিজ্যে তার ‘আমেরিকা প্রথম’ ভিশন ও উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কথা বলবেন তিনি।
সূত্র : এএফপি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন