‘আমি ছেলেদের পছন্দ করি না, দেখলেই মনে হয় এক চড় মেরে দিই’
ওপার বাংলা টেলিভিশনের সেরা সুন্দরীদের অন্যতম। সুন্দর সংসারের জন্য অভিনয় ছাড়তে রাজি অথচ ছেলেদের সহ্যই করতে পারেন না। কেন? একান্ত সাক্ষাৎকারে রূপসা মুখোপাধ্যায়।
গতকাল ছিল জন্মদিন। শ্যুটিং থেকে ছুটি নিয়ে সারাদিন বাড়িতে কাটালেন ‘ভক্তের ভগবান শ্রীকৃষ্ণ’-র সত্যভামা অর্থাৎ রূপসা মুখোপাধ্যায়। কেমন কাটল বিশেষ দিন সেই নিয়েই আড্ডা হল আজ সকালে। রূপসা কীভাবে পা রাখলেন অভিনয় জগতে সেই নিয়ে তো কথা হলই, পাশাপাশি জানালেন তাঁর বিয়ের পরিকল্পনা…
কাল মা কী রান্নাবান্না করলেন? তুমি কী খেতে ভালবাসো এমনিতে?
রূপসা: মা প্রচুর রান্না করেছিল, ইলিশ মাছ, মাটন… আমি মাটন খেতে খুব ভালবাসি। প্রচুর খাওয়াদাওয়া হয়েছে। এত খেয়েছি যে পরে শরীর খারাপ করে গেল। আমি প্রচণ্ড বিরিয়ানি খেতে ভালবাসি। যদি এই প্রফেশনে না থাকতাম, ডায়েটিং না করতে হতো, তাহলে চারবেলা বিরিয়ানি খেতাম। মায়ের হাতের রান্না তো সব সময় ফেভারিট। আর চকোলেটস খুব ভালবাসি।
কবে থেকে অভিনয় শুরু করলে? অভিনয়ে আসার ইচ্ছেটা হল কেন?
রূপসা: আমার কেরিয়ার শুরু একটা ওড়িয়া ছবি দিয়ে। তার পরে বাংলা ছবিও করেছি। কিছুদিন আগে রিলিজ হল একটা ছবি ফিরদৌসের সঙ্গে ‘কখনও বিদায় বোলো না’। প্রথমে ছবি, তার পরে মেগা-তে আসা, আর এটা আমার থার্ড মেগা। আসলে আমি ভাবিনি কোনওদিনই এই প্রফেশনে আসব। এটা পুরোপুরি আমার মায়ের ইচ্ছায়। আমি এখনও যেটা করছি, সেটা পুরোপুরি মায়ের জন্য।
ছোটবেলা থেকেই মা বলতেন?
রূপসা: হ্যাঁ ছোটবেলা থেকেই মায়ের ইচ্ছা ছিল কিন্তু আমার এয়ার হোস্টেস হওয়ার ইচ্ছা ছিল। ১০+২-এর পরে ওটা নিয়েই স্টাডি করব ভেবেছিলাম। আমার কাকা মিউজিক ডিরেক্টর। ওই ১০+২-এর পরেই কাকা একটা মুভির কথা বলে। মা ওখানে আমাকে নিয়ে গিয়েছিল অডিশনের জন্য। যদিও ওই প্রজেক্টটা হয়নি। কিন্তু তার পরেই আমি একটা ওড়িয়া ছবির অফার পেয়ে ওড়িশা চলে যাই। মুভিটা খুব পপুলার হয়েছিল, ১০০ দিন চলেছিল। তার পরেও প্রচুর অফার পাই ওখান থেকে। কিন্তু বাড়ি ছেড়ে থাকতে হতো আর ওখানে খুব কালো হয়ে যাচ্ছিলাম তাই চলে এলাম।
‘ভালোবাসা ভালোবাসা’, ‘এসো মা লক্ষ্মী’ আর ‘শ্রীকৃষ্ণ’— এই তিনটে মেগার মধ্যে তোমার পার্সোনাল ফেভারিট কোন চরিত্র?
রূপসা: পদ্মাবতী। মাইথোলজিক্যাল চরিত্র আমার পার্সোনালি খুব ভাল লাগে। যদিও এখন যেটা করছি সেটাও মাইথোলজিক্যাল। এই ধরনের চরিত্রের সঙ্গে আমি নিজেকে খুব ভালভাবে রিলেট করতে পারি। কিন্তু ‘এসো মা লক্ষ্মী’-র চরিত্রটাই আমার সবচেয়ে প্রিয়।
‘সত্যভামা’ কি একটু জটিল?
রূপসা: প্রথমের দিকে একটু ছিল। আসলে ও একটু পজেসিভ। চায় যে ওর স্বামী যেন শুধু ওরই থাকে। কিন্তু কৃষ্ণ তো সেরকম না। ওর তো সবাইকেই চাই। আমি তো বলি, যদি আমার বর এরকম করত তাহলে আমি গায়ে আগুন লাগিয়ে দিতাম, আর নিজেও পুড়ে মরে যেতাম। কোনও মেয়েই সহ্য করবে না। যখনই কৃষ্ণ বিয়ে করে আনে, আমি তো বলি, তুমি আবার একটা বিয়ে করে আনলে? বা বা বা… ভাগ্যিস এটা রিল লাইফে।
তোমার হবিজ কী?
রূপসা: আমি গান শুনতে ভালবাসি। ফ্রি টাইমে জিম করতে খুব ভালবাসি। আসলে আমার খুব বেশি বন্ধুবান্ধব নেই। তাই ফ্রি টাইমে নিজেকে গ্রুম করতে, শপিং করতে ভালবাসি।
রিল লাইফে তো অনেক নায়কের সঙ্গে দেখলাম, কিন্তু রিয়েল লাইফের হিরোটি কে?
রূপসা: কেউ নেই আপাতত। ২০১৫ সালে লাস্ট ব্রেক আপ হয়েছে আমার। আমি ছেলেদের পছন্দই করি না, দেখলেই মনে হয় এক চড় মেরে দিই। আমার খুব ক্যারেক্টারলেস মনে হয়। ট্রাস্ট করতে পারি না, মনে হয় সব ছেলেই সমান। আর শ্রীকৃষ্ণ-তে যা দেখছি, ভগবানরাই এরকম ছিল তো মানুষ কেমন হবে?
তাহলে তো এখন আর বিয়ের প্ল্যান নেই।
রূপসা: যদি ভাল কোনও ছেলে পাই, নেক্সট ইয়ার করে নেব।
বিয়ের পরে যদি সে অভিনয় করতে না দেয়?
রূপসা: করব না! যদি ছেলেটা আমায় সত্যি ভালবাসে তবে তার জন্য অভিনয় ছাড়তে আমার কোনও প্রবলেম নেই। তবে আমার মনে হয় সে যদি আমাকে ভালবাসে তবে আমার সম্পর্কিত সবটাই ভালবাসবে। মনে হয় সে বলবে না। যদি বলে তাহলেও কোনও চাপ নেই। অভিনয় করব না, কোনও বিজনেস করব। আসলে আমি আমার পার্সোনাল লাইফটাকে ভীষণ ভাবে গুরুত্ব দিই। আমি যদি দেখি যে আমার প্রফেশনাল লাইফের জন্য প্রবলেম হচ্ছে, তাহলে কেন আমি সেটা স্যাক্রিফাইস করব?-এবেলা
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন