‘আমি মৃত্যুর আগে পার্টিকে ক্ষমতায় দেখতে চাই’
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, দুই দলের কেউ আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেনি। সুবিচার করেনি। শুধু তাই নয়, আমার উপরে যে অত্যাচার হয়েছে, পৃথিবীর কোথাও কোনো দেশের রাজনৈতিক নেতা এ রকম নির্যাতিত ও নিপীড়িত হয়নি।
সোমবার বনানীর কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমি আবারও বলি দুর্বলের সঙ্গে কেউ হাত মেলায় না। তাই জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী হতে হবে। পার্টি শক্তিশালী হলে আমাদের কাছে সবাই আসবে। আমাদের কারও কাছে যেতে হবে না।
এ সময় তিনি আরও বলেন, দুই দলের নির্যাতনের হাত থেকে মানুষ পরিত্রাণ চায়। শান্তি, সুখ ও নিরাপত্তা চায়। শান্তির ও নিরাপত্তার ভরসার স্থান একমাত্র জাতীয় পার্টি। রংপুরের নির্বাচনের পর দেশের মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আমাদের আর কেউ ফেলনা মনে করে না। তোমরা শক্তি অর্জন কর, সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হও।
এরশাদ বলেন, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পার্টির মহাসমাবেশে প্রমাণ করতে হবে। আমাদের সাংগঠনিক শক্তি আছে, সামর্থ্য আছে, জনবল আছে, মানুষের ভালোবাসা আছে। আমি মৃত্যুর আগে পার্টিকে ক্ষমতায় দেখতে চাই। তবেই মরে আমি শান্তি পাব।
সভায় পার্টির মহাসচিব এবিএম রহুল আমিন হাওলাদার এমপি বলেন, দল শক্তিশালী হয় না নেতাদের কারণে, কর্মীদের দোষ নয়। এজন্য দায়ী আমিসহ এখানে উপস্থিত প্রথম সারির নেতারা।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি ছেড়ে অনেক নেতা চলে গেছেন। আবার ফিরে আসতে চায়। ফিরে এলে তাদের সুযোগ দেব। দলকে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সাংগঠনিক শক্তি অর্জন করব। ভোটের মাধ্যমে মানুষ আমাদের মতামত দিবে। নির্বাচিত হয়েই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাব। ইনশাআল্লাহ।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, গোলাম কিবরিয়া টিপু, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, মো. আজম খান, মো. শফিকুল ইসলাম সেন্টু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, অধ্যাপিকা মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী এমপি, ফকরুল ইমাম এমপি, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, একেএম মাঈদুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, হাবিবুর রহমান, এস এম ফয়সল চিশতী, মীর আবদুস সবুর আসুদ, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এটিইউ তাজ রহমান, অ্যাড. মহসিন রশীদ, তাজুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, আতিকুর রহমান আতিক, আব্দুর রশীদ সরকার, মেজর খালেদ আখতার (অব.)। উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, অধ্যাপিকা রওশন আরা মান্নান এমপি, রিন্টু আনোয়ার, ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী, মেরিনা রহমান এমপি, সৈয়দ দিদার বখত, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, অ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, মো. নোমান এমপি, কাজী মামুনুর রশীদ, সোমনাথ দে, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, নাজমা আক্তার। ভাইস চেয়ারম্যান-আলহাজ আব্দুস সাত্তার মিয়া, এম এ তালহা, জিয়াউল হক মৃধা এমপি, নুরুল ইসলাম মিলন এমপি, শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ এমপি, অ্যাড. গিয়াস উদ্দিন, অ্যাড. একরামুল হক, মো. শামসুল আলম মাস্টার, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, জহিরুল ইসলাম জহির, আলমগীর সিকদার লোটন, মো. দেওয়ান আলী, নুরুল ইসলাম নুরু, দিদারুল আলম দিদার, আমানত হোসেন আমানত, সরদার শাহজাহান, এমরান হোসেন মিয়া, শওকত চৌধুরী এমপি, মেহেরুন্নেসা খান হেনা, রুস্তম আলী ফরাজী এমপি, হিনা খান পন্নী, সরদার সাহাজান। সংসদ সদস্য- নুরুল ইসলাম ওমর, এমএ মুনিম চৌধুরী বাবু, আমির হোসেন ভুইয়া, মো সেলিম উদ্দিন, মৌলভী ইলিয়াস, পীর ফজলুর রহমান মেজবাহ, খুরশেদ আরা হক, মামুনুর রশীদ, আলতাফ হোসেন, শাহানারা বেগম, নুরুল ইসলাম তালুকদার।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন