আমি ষড়যন্ত্রের শিকার : শাকিব খান
‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।’ বললেন দেশের চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। তিনি এখন আছেন সেন্ট্রাল লন্ডনের এক হোটেলে। গিয়েছিলেন ‘চালবাজ’ ছবির শুটিংয়ে। কিন্তু ছবির কাজ হয়নি। আগামী ২৬ জুন দেশে ফিরছেন। এসে সংবাদ সম্মেলন করবেন। তার আগে বেশি কিছু বলতে চান না।
সবার দৃষ্টি এখন শাকিব খানের দিকে। তাকে চলচ্চিত্রে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এফডিসিতে অবাঞ্চিত তিনি। কেউ আর তার সঙ্গে কাজ করতে পারবে না। তিনি কী বলবেন? সন্ধ্যা থেকেই শাকিব খানের সঙ্গে নানা ভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। শেষ পর্যন্ত প্রযোজক মোহাম্মদ ইকবালের মাধ্যমে কথা বলেন শাকিব খান।
জানালেন, এপ্রিল মাসে তাকে যখন নিষিদ্ধ করা হয়, তখন স্বেচ্ছায় তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির কার্যালয়ে যাননি। চিত্রনায়ক আলমগীরের অনুরোধে গিয়েছিলেন। আর তিনি কারও কাছে ক্ষমা চাননি। পরে সংবাদ সম্মেলনে যা বলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
শাকিব খান বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য ৫ শতাধিক, চলচ্চিত্র প্রযোজক–পরিবেশক সমিতির সদস্য ২৪০ জন আর চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সদস্য ৩ শতাধিক। কিন্তু আন্দোলন করছে হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন। কিন্তু যারা তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে, নিষিদ্ধ করেছে; তারা আসলে কারা, তারা কতজন?
তিনির আরও বলেন, গত ১৮ জুন সংবাদ সম্মেলনে চিত্রনায়ক ফারুকের নাম উচ্চারণ করে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি ‘সাহেব’ বলেছেন।
শেষে তিনি আরও বলেন, চলচ্চিত্রকে ধ্বংস করার জন্য বড় চক্রান্ত হচ্ছে। যারা কাজ করছে কিংবা কাজ করতে চাচ্ছে, তাদেরকে বাধা দেওয়া হচ্ছে, তাদেরকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে, তাদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তিনি সেই চক্রান্তকারীদের মুখোশ খুলে দিতে চান।
আগেই জানানো হয়েছে, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি আর বরেণ্য চিত্রনায়ক ফারুককে হেয় করে মন্তব্য করার অভিযোগে চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করেছে চলচ্চিত্রের ১৬টি সংগঠন নিয়ে গঠিত চলচ্চিত্র ঐক্যজোট।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন