প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে আত্মঘাতী এক যুবক। নাম রাজীব পাল। প্রেমিকা ঝিলিক রায়কে আটক করেছে দমদম থানার পুলিশ। রাজীবের বাড়ি কলকাতা শহরের দমদমের শেঠবাগানে। ঝিলিকের বাড়ি বরানগরে।

কিন্তু, সে দমদমের বেদিয়াপাড়ায় ভাড়া বাড়িতে থাকত। তিন মাসে আগে ফেসবুকের মাধ্যমে দু’জনের পরিচয় হয়। বন্ধুত্বের সম্পর্ক প্রেম পর্যন্ত গড়ায়। এরপর বিয়ের প্রস্তাব দেয় রাজীব। বিয়ের জন্য সময় চায় ঝিলিক। এরমাঝে অন্য একজনের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

এদিকে, রাজীবের কাছে নাকি প্রায়শই টাকা চাইত ঝিলিক। প্রেম টিকিয়ে রাখার জন্য একাধিকবার টাকাও দেয়। গতরাতে রাজীব ঝিলিককে ফোন করে। ফোনে ঝিলিক জানায়, তার বিয়ে হয়ে গেছে। স্বামীর সঙ্গে শুয়ে আছে। সাংসারিক জীবনে যেন রাজীব হস্তক্ষেপ না করে।

এরপর ঘরে কান্নাকাটি করে রাজীব। দরজা বন্ধ করে দেয়। আজ সকালে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে ঘরের দরজা ভেঙে রাজীবের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সিলিং ফ্যানে চাদর পেঁচিয়ে গলায় জড়িয়ে আত্মহত্যা করে সে।

রাজীবের পিসি/ফুফু জুলি দে’র অভিযোগ, “আমার ভাইপোর কাছ থেকে টাকা চেয়ে মানসিক চাপ তৈরি করছিল। তবু, রাজীব সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিল। বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। কিন্তু, ঝিলিক অস্বীকার করে। রাজীব বলে, তোকে না পেলে আমি মরে যাব। কিন্তু, ও বলে তুই মরে যা। আমার কিছু এসে যায় না। প্রেম ভেঙে যাওয়ায় আত্মঘাতী হয়েছে রাজীব।”

খবর পেয়ে আসে পুলিশ। রাজীবের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। পরিবারের অভিযোগ, প্রথমে পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি। পরে অভিযোগ নেয়। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ঝিলিককে আটক করে।