আরেক দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানোয় জীবনযাত্রার উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে
আরেক দফায় বাড়ানো হলো বিদ্যুতের দাম, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোয় জীবনযাত্রার উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভর্তুকির চাপ কমাতেই আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। এই দাম বাড়ানোর মধ্য দিয়ে বাজেটের ওপর চাপ কমানোর পাশাপাশি মুল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে বলে মনে করছেন তিনি।
তবে, এতে দ্বিমত জানিয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ফলে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে। কারণ, বিদ্যুতের সঙ্গে জড়িত থাকে সব কিছু। ফলে দাম বেড়ে গেলে সেটার প্রভাব নিত্যপণ্যের ওপর এসেও পড়ে।
এমনিতেই নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে সাধারন মানুষের অভিযোগের অন্ত নেই। আয়ের সাথে ব্যয়ের হিসাব যখন কোন ভাবেই মিলছে না; এমন সময় আরেক দফা বাড়লো বিদ্যুতের দাম।
পহেলা মার্চ থেকে আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সাধারণ মানুষের।
এ নিয়ে গেলো দুই মাসে তিনবারই এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে পাশ কাটিয়ে নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ালো সরকার। ১২ জানুয়ারি গ্রাহক পর্যায়ে ৫ শতাংশ, ৩০ জানুয়ারি ৫ শতাংশ ও সবশেষ মঙ্গলবার রাতে আবারও ৫ শতাংশ হারে মোট ১৫ শতাংশ দাম বাড়ানো হলো।
অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে আবারও বাড়লো বিদ্যুতের দাম। যা কার্যকর হয়েছে ১ মার্চ থেকে। অর্থাৎ এপ্রিল মাসে গ্রাহককে নতুন হিসাবে বাড়তি বিল দিতে হবে। এতে জীবন যাত্রার ব্যায় বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল আলম।
তিনি বলেন, শুধু তা–ই নয়, বাজার চড়ে থাকা নিত্যপণ্যের দামও বাড়ছে। এখন বাড়বে আরও। সব মিলিয়ে বাড়তি খরচের চাপ সামলাতে আরও হিমশিম খাবেন ভোক্তারা। পণ্যের উৎপাদন খরচও নতুন করে বাড়বে। ফলে পণ্যের দামও বাড়বে। চাপে পড়বে ভোক্তারা।
তবে, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর মধ্য দিয়ে সরকারের বাজেট ঘাটতি কমাতে পারবে। সেই সাথে বাজেটে ঘাটতি কম হলে মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির চাপ সামাল দিতেই দাম বাড়ানো হচ্ছে।
বুধবার শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা শেষে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী সামসুল বলেন, ভর্তুকির চাপ সামলাতেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বৃদ্ধি খুব বেশি নয়।
গেলো ১৪ বছরে সরকার ভোক্তা পর্যায়ে মোট ১৩ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। আর পাইকারি পর্যায়ে দাম বেড়েছে মোট ১১ বার।
এর আগে বিদ্যুত খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বা বিইআরসি গণশুনানির মাধ্যমে নির্ধারণ করতো বিদ্যুতের দাম। পরবর্তীতে আইন সংশোধন করে এ ক্ষমতা হাতে নিয়েছে সরকার। এর পর থেকেই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে দাম বাড়াচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন