আর্মি স্টেডিয়ামে আনিসুল হকের জানাজায় জনস্রোত
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২ ডিসেম্বর) বাদ আসর তার জানাজা হয়েছে। এখানে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল নেমেছিল রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে।
শনিবার বিকাল ৩টায় আনিসুল হকের বনানীর বাসা থেকে আর্মি স্টেডিয়ামে নিয়ে আসা হয় মরদেহ। বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে তাকে। মা, শাশুড়ি ও ছোট ছেলের মো. শারাফুল হকের কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন তিনি।
এর আগে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে প্রয়াত মেয়রের মরদেহ দেখতে তার বাসায় যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় আনিসুল হকের স্ত্রী-সন্তান ও স্বজনদের সমবেদনা জানান তিনি।
শনিবার দুপুর পৌনে ১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনিসুল হকের মরদেহ বহনকারী বিমান অবতরণ করে। তারপর সরাসরি বনানীর বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। বনানীর বাসায় প্রয়াত মেয়রের পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের শেষ দেখার পর সর্বস্তরের মানুষের শেষ শ্রদ্ধার জন্য মরদেহ নিয়ে আসা হয় আর্মি স্টেডিয়ামে।
লন্ডনে সাড়ে চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনিসুল হকের মৃত্যু হয়।
আনিসুল হক ১৯৫২ সালের ২৭ অক্টোবর ফেনী জেলার সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলায়। বর্তমান সেনাপ্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক মেয়র আনিসুল হকের ছোট ভাই। স্ত্রী রুবানা হকসহ তিন সন্তানকে রেখে গেছেন তিনি।
উপস্থাপক হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয় হন আনিসুল হক। পরবর্তীতে তৈরি পোশাক খাতের সফল ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন তিনি। এরপর বিজিএমইএ, এফবিসিসিআই ও সার্ক চেম্বারের মতো ব্যবসায় সংগঠনগুলোর সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। ২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন