‘আর কত নির্যাতন হলে গণহত্যার স্বীকৃতি মিলবে?’

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক জাতিসংঘকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘আর কত রক্ত চান আপনারা? আর কত নারী-পুরুষ ও শিশু হত্যা করা হলে আপনারা বলবেন এটা গণহত্যা। এখন পর্যন্ত কেন আপনারা রোহিঙ্গাদের ওপর অমানবিক নির্যাতনকে গণহত্যার স্বীকৃতি দিচ্ছেন না সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। আপনারা গণহত্যার যেসব উপাদান বলছেন এর মধ্যে এখানে অনেকগুলো রয়েছে। তারপরও কেন গণহত্যা বলছেন না? ’

শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সেন্টার ফর দ্য স্টুডেন্ট অফ জেনোসাইড অ্যান্ড জাস্টিজের আয়োজনে ‘টেস্টিমনি অফ সিক্সটি’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।

রিয়াজুল হক বলেন, ‘জাতিসংঘ সৃষ্টি হয়েছে শান্তির জন্য। সে শান্তি যদি বিঘ্নিত হয়, তাহলে জাতিসংঘের দরকার কী!’

মানবাধিকার চেয়ারম্যান বলেন, ‘রিফিউজিদের দীর্ঘদিন রাখা যায় না। মিয়ানমার থেকে নতুন করে কোনো রোহিঙ্গা যেন না আসে সে জন্য মিয়ানমার সরকারকে চাপ দিতে হবে। আর বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে যত রোহিঙ্গা এসেছে সবাইকে যেন মিয়ানমার মাথা নিচু করে নিয়ে যেতে বাধ্য হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।’

রিয়াজুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে যে পাঁচটা স্টেটমেন্ট দিয়েছেন সেটা কার্যকর করার জন্য জাতিসংঘ, আসিয়ান, ওআইসিসহ সবধরনের আন্তর্জাতিক সাহায্য নিতে হবে যেন ইমিডিয়েটলি মিয়ানমার বাধ্য হয়। না হলে আমরাই বিভিন্ন সংকটে পড়ে যাব।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে একাত্তরে বাংলাদেশের বিদেশি বন্ধু জুলিয়াস ফ্রান্সেস বলেন, ‘আমি কক্সবাজার গিয়ে রোহিঙ্গাদের খুব কাছ থেকে দেখেছি, কথা বলেছি। তারা তাদের দেশে ফিরে যেতে চায়। তারা যেন দেশে ফিরে যেতে পারে সেজন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও ‘টেস্টিমনি অফ সিক্সটি’র চেয়ারম্যান মফিদুল হক।