আসছে ঈদ, প্রাণ ফিরেছে পাবনার ঈশ্বরদী বেনারসী পল্লীতে
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে প্রাণ ফিরেছে পাবনার ঈশ্বরদীর বেনারসী পল্লীতে। করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে গত দুই বছর প্রাণহীন হয়ে পড়েছিল বেনারসী পল্লী। বন্ধ হয়ে গেছে বহু তাঁত, বেকার হয়ে পেশা বদলিয়েছেন কারিগররা। এবার ঈদকে সামনে রেখে বেনারসি তাঁতপল্লীতে শাড়ি তৈরির ধুম পড়েছে। গত দু’বছর কাজ না হলেও এখন দম ফেলার সময় পাচ্ছেন না কারিগররা।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বেনারসি পল্লী পাবনার ঈশ্বরদী শহরের ফতেহ মোহাম্মদপুর সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় তিন শতাধিক কারখানার কয়েক হাজার কারিগর চরম ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কারখানার নারী শ্রমিকের পাশাপাশি আশেপাশের বাড়ির বৌ-ঝিরাও পুঁতি ও কারচুপির কাজ করছেন। ঈদ উপলক্ষে এখানে শাড়ির পাশাপাশি লেহেঙ্গা, অনারকলি তৈরি হচ্ছে। শাড়িতেও আছে বৈচিত্র্য। কারিগররা জানান, বেলী কাতান, নেট কাতান, ফুলকলি, পিওর কাতান, জামদানী প্রভৃতি নামের বাহারি শাড়ি তৈরি হচ্ছে।
স্থানীয় তাঁত মালিকরা জানান, ঈদকে সামনে রেখে এখন প্রতি সপ্তাহে প্রায় দুই হাজার পিস শাড়ি উঠছে তাঁত থেকে। ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোর বিপণীবিতানে এখানকার শাড়িগুলোই সর্বনিম্ন সাড়ে তিন হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানালেন, দেশের মধ্যে ঢাকা রাজশাহী, খুলনা, কুষ্টিয়া, নাটোর, টাঙ্গাইল ইত্যাদি জেলায় যাচ্ছে।
ঈশ্বরদী তাঁতী সমিতির সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর ওয়াকিল আলম জানান, এবার ঈদে ব্যবসায়ীদের বেচাকেনা ভাল। কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে। রাত জেগে কাজ করতে হচ্ছে।
ঈশ্বরদী বেনারসি পল্লীর কর্মকর্তা খন্দকার ওবাইদুল রহমান জিলানী বলেন, ঈশ্বরদীর ফতেহ মোহাম্মদপুরে বেনারসি পল্লীর তাঁতীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। দু’বছর মহামারী করোনার কারণে বেচাকেনা কম হলেও এবার ঈদে বেনারসির চাহিদা বেশি থাকায় কারিগররা দিনরাত কাজ করছেন। বেনারসি পল্লীর পাশাপাশি বিভিন্ন বাসা বাড়িতে নিজস্ব তাঁত রয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন