ইউক্রেনকে ক্ষতিপূরণ দিতে রাশিয়ার প্রতি জাতিসঙ্ঘের আহ্বান


ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসী অভিযানে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত করতে জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদ একটি রেজুলেশন অনুমোদন করেছে। এই প্রস্তাবনায় যুদ্ধের সময় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির জন্য রাশিয়াকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
১৪ নভেম্বর (সোমবার) পরিষদের ১৯৩টি সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে ৯৪টি রাষ্ট্রের ভোটে এই রেজুলেশনটি পাস হয়। এত বলা হয়, ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেশী দেশ দখল করে নেয়ার জন্য রাশিয়াকে অবশ্যই তার আন্তর্জাতিকভাবে করা ভুল কাজের জন্য আইনগত দায় বহন করতে হবে আর এর মধ্যে রয়েছে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা। খবর আল-জাজিরার।
এই প্রস্তাবনার বিপক্ষে রাশিয়া, চীন ও ইরানসহ ১৪টি দেশ ভোট দেয়। ভোটপ্রদানে বিরত থাকে ৭৩টি দেশ, এর মধ্যে আছে ব্রাজিল, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সব সদস্যরাষ্ট্রই ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেনি।
২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আগ্রাসনের পর জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদে আনা ইউক্রেন সম্পর্কিত পাঁচটি রেজুলেশনের মধ্যে এটিই সবচেয়ে কম সমর্থন পেল। তবে এবার এই রেজুলেশনে ক্ষয়ক্ষতি, প্রাণহানি ও আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থাসহ একটি আন্তর্জাতিক পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে স্বীকৃতি দেয়া হলো।
এই খসড়ায় সদস্য দেশগুলোকে ইউক্রেনের সহায়তায় একটি আন্তর্জাতিক রেজিস্টার প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে যেখানে ইউক্রেনবাসী বা দেশটির সরকারের প্রতি রাশিয়ার করা কোনো ধ্বংসাত্মক কাজ, আহত অথবা নিহতের বিষয়ে সবধরনের দাবি লিপিবদ্ধ করা হবে। কয়েক মাস খেরসন শহরটি নিজেদের দখলে রাখার পর সেখান থেকে রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহারের পর এই রেজুলেশনটি পাস হলো। সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এই শহরটি সফর করেন এবং এই অঞ্চল জুড়ে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনেন।
সেপ্টেম্বরের শেষভাগে জাতিসঙ্ঘের একটি কমিশন তাদের তদন্ত রিপোর্টে জানায় যে, ইউক্রেনে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে সংঘটিত বেশ কিছু যুদ্ধাপরাধের নজীর তারা পেয়েছেন আর এর মধ্যে রয়েছে যৌন ও লিঙ্গ সম্পর্কিত বেশ কিছু সহিংসতার ঘটনা।
এদিকে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার ভোটো ক্ষমতার কারণে জাতিসঙ্ঘের সবচেয়ে শক্তিশালী সংস্থাটি কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারলেও সাধারণ পরিষদে নেই ভেটো প্রদানের ক্ষমতা। রাশিয়ার আগ্রাসনের পর সাধারণ পরিষদে এর আগে দেশটির তৎপরতার সমালোচনা করে চারটি রেজুলেশন গ্রহণ করা হয়।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন