ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনাপ্রত্যাহার করছে রাশিয়া

সামরিক মহড়া শেষে অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপ থেকে একটি রেলপথ সেতু হয়ে রাশিয়ার এক সারি ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান চলে যাচ্ছে। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এমন একটি ভিডিও পোস্ট করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

কোনো কোনো সেনা ইউনিট তাদের স্থায়ী ঘাঁটিতে ফিরে যাচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।-খবর রয়টার্সের

মঙ্গলবার ইউক্রেনের নিকটবর্তী এলাকা থেকে আংশিক সেনাপ্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে মস্কো। যদিও এ উদ্যোগ নিয়ে সন্দেহ রয়ে গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ইউক্রেন সীমান্তে এখনো দেড়লাখ রুশ সেনা অবস্থান করছে।

গত কয়েক দশকের মধ্যে পূর্ব-পশ্চিম সম্পর্কের সবচেয়ে গভীর সংকটের মধ্যে একটিতে পড়ে গিয়েছিল বিশ্বশক্তিগুলো। শীতলযুদ্ধ পরবর্তী সবচেয়ে বড় প্রভাব বিস্তারের লড়াইয়ে নেমে গিয়েছিল তারা।

বুধবার ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্যাংক, পদাতিক যুদ্ধযান, স্বয়ংক্রিয় কামান ইউনিট ক্রিমিয়া উপদ্বীপ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে মস্কোকে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করা হয়েছিল।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থায়ী সামরিক ঘাঁটিতে যোদ্ধাদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যুদ্ধ উপকরণ ফিরিয়ে নেওয়ার পর সেগুলোকে মেরামত ও পরবর্তী পর্যায়ের প্রশিক্ষণের জন্য প্রস্তুত করা হবে।

সংবাদ সংস্থা আরআইয়ের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, রাতের বেলায় কয়েক ডজন সামরিক যান সেতুটি অতিক্রম করে চলে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ইউরোপে কোনো যুদ্ধ চাচ্ছে না রাশিয়া। তবে পূর্ব-ইউক্রেনের পরিস্থিতিকে তিনি ‘গণহত্যা’ বলে উল্লেখ করেছেন। মিনসক শান্তি চুক্তির আওতায় সেখান পরিস্থিতি সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ সলজের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইউক্রেনের নিকট থেকে আংশিক সেনাপ্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। মস্কোর নিরাপত্তা চাহিদার সঙ্গে আরও আলোচনার সুযোগ রাখা হয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনে পরিপূর্ণ রক্তক্ষয়ী আগ্রাসনের আশঙ্কা কখনোই ছিল না বলে দাবি করেছেন এমআইসিক্সের সাবেক প্রধান জন সিউয়ারর্স। তিনি বলেন, আগ্রাসনের শঙ্কা এখন আর নেই।

তিনি জানান, আমি কখনোই মনে করি না, ইউক্রেন আগ্রাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। কারণ আমার কাছে মনে হচ্ছে, এটার তার জন্য সবসময় একটি ঝুঁকিপূর্ণ পথ।