ইউটিউবের ‘অ্যাডাল্ট কনটেন্ট’ থেকে শিশুদের বাঁচাতে…
স্মার্ট যন্ত্র এখন বাচ্চাদেরও হাতে হাতে চলে গেছে। তারাও কিন্তু এগুলোর ব্যবহার শিখে ফেলছে অনায়াসে।
প্রযুক্তি যুগের প্রজন্ম বলে কথা। কিন্তু এসব যন্ত্র আর ইন্টারনেটের বাধাহীন সরবরাহের কারণে শিশুদের কিছু বিষয় সত্যিকার অর্থেই ঝুঁকির মুখে পড়ে যাচ্ছে। এটা বাবা-মায়েদের ভাবতে হবে। স্মার্টফোন বা ট্যাবের মাধ্যমে অনেক আপত্তিকর ও অনুপযুক্ত জিনিস তাদের কাছে সহজে চলে আসছে।
শিশুদের হাতে ট্যাব বা স্মার্টফোন তুলে দেওয়ার আগেই ইন্টারনেটে থাকা অনুপযুক্ত বিষয়গুলো নিয়ে ভাবা উচিত। এগুলোর প্রতি সব মানুষেরই আগ্রহ কাজ করে। আপনার ব্যবস্থা গ্রহণের আগে শিশুরা যদি এসব দেখে ফেলে, তো আগ্রহ আরো বেড়ে যাবে। অবশ্য এগুলো থামাতে বাবা-মায়েদের ব্যাপক আয়োজনের দরকার নেই। সামান্য পদক্ষেপেই তারা বাচ্চার স্মার্ট যন্ত্রটাকে নিরাপদ করে দিতে পারেন।
আপনার শিশুটি যখন ইউটিউব বা অন্য কোনো সাইটে ঢুঁ মারে তখন ‘রিলেটেড ভিডিও’ অংশটি উঠে আসে। সেখানেই আপত্তিকর বিষয়গুলো উঠে আসতে পারে। এ যুগের শিশুদের সময়ের বড় একটা অংশ কাটে ইউটিউবে ভিডিও দেখে। ইউটিউব আপনাকে এই অপশনটি নিয়ন্ত্রণের সুযোগ করে দিয়েছে। তাই শিশুর ব্রাউজিং নিরাপদ করতে ইউটিউবে কী করতে হবে তা দেখে নিন-
১. আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে ইউটিউবে প্রবেশ করুন।
২. এবার ‘রেসট্রিকটেড’ মোড সিলেক্ট করুন।
৩. এই মোডকে ‘অন’ করে দিন।
৪. এবার দেখাবে নিয়ম-কানুনের তালিকা। এগুলো সময় থাকলে পড়ে নিন।
৫. এবার ‘সেভ’ বাটনে চাপ দিন।
৬. আরেকটি অপশন রয়েছে। এর মাধ্যমে শিশুদের জন্য আলাদা একটি সার্চ ইঞ্জিনই তৈরি করে দিয়েছে গুগল। এর নাম http://www.kiddle.co।
৭. এটা তৈরি করাই হয়েছে শিশুদের জন্যে। দেওয়া হয়েছে ফিল্টার যা কিনা শতভাগ কাজ করে। শিশুদের কিছু খুঁজে বের করতে এই সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করতে বলুন।
সূত্র : দুবাই পোস্ট
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন