ইউপিডিএফ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ বন্দুক যুদ্ধে ইউপিডিএফ সশস্ত্র সদস্য নিহত
পার্বত্য জেলা রাঙামাটির বন্দুকভাঙা রেঞ্জে ইউপিডিএফ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ বন্দুক যুদ্ধে ইউপিডিএফ সশস্ত্র সদস্য নিহত নিহতের ঘটনায় প্রশিক্ষণ ক্যাম্প সন্ধান পাওয়ার আইএসপিআরের দাবি ভিত্তিহীন বলে ইউপিডিএফ’র মন্তব্য করেছেন। নিহত ইউপিডিএফ সন্ত্রাসী পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর সশস্ত্র সদস্য।
গত বৃহস্পতিবার(২রা জানুয়ারি) রাঙামাটি পার্বত্য জেলার লংগদু উপজেলার কাট্রোলী এলাকায় ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ টহলদল ইউপিডিএফ প্রসিত এর একটি আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এতে এক ইউপিডিএফ সশস্ত্র সদস্য নিহত হয়। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ব্যাপক তল্লাশি পরিচালনা করে লাশ, মোবাইল ফোন, অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেন।
নিহতের নাম এসিং মারমা, সে রাঙামাটি কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা। ইউপিডিএফ সশস্ত্র বিভাগের সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছিলেন। এসিং কাট্রোলী, বন্দুকভাঙা এলাকায় চাঁদাবাজি, অপহরণ ও বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিল বলে জানা গেছে।
এদিকে রাঙামাটির বন্দুকভাঙা রেঞ্জে পাগলিছড়া(লংগদু উপজেলা) ও যমুচক এলাকায় ইউপিডিএফের পরিত্যক্ত প্রশিক্ষণ ক্যাম্প সন্ধান পাওয়ার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের(আইএসপিআর) দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, আজগুবি ও পাটির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে মতলববাজী অপপ্রচার বলে অভিহিত করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)।
গত শনিবার (৪ঠা জানুয়ারি ২০২৫) সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমা আইএসপিআর-এর উক্ত দাবিকে নাকচ করে বলেন, ‘ইউপিডিএফ একটি প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, যা গণতান্ত্রিক পন্থায় পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপীড়িত জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। গত ৫ই আগস্ট ছাত্র-গণ অভ্যুত্থানেও ইউপিডিএফ অন্যান্য গণতান্ত্রিক দল ও সংগঠনের সাথে মিলে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছে।
‘তাই আইএসপিআর যদি “প্রশিক্ষণ ক্যাম্প” বলতে সামরিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প বুঝিযে থাকে, তাহলে তা আদৌ সত্য নয়; ইউপিডিএফ এ ধরনের কোন ক্যাম্প পরিচালনা করে না।’
তবে আইএসপিআর উল্লেখিত এলাকায় ইউপিডিএফের কোন সামরিক-বেসামরিক কিংবা সাংগঠনিক ক্যাম্প নেই জানিয়ে ইউপিডিএফ নেতা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সন্তু গ্রæুপের হামলার ভয়ে ইউপিডিএফের সমর্থক ও গ্রামবাসী দীর্ঘদিন ধরে পালিযে জঙ্গলে রাত কাটিয়ে থাকে।
আইএসপিআরের উরেøখ করা “ক্যাম্পগুলো” তাদের থাকার ঘর হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অংগ্য মারমা আরো বলেন, ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী দিয়ে কয়েক বছর ধরে ইউপিডিএফের ন্যায়সঙ্গত গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনে ব্যর্থ হওয়ার প্রেক্ষাপটে আইএসপিআরের এ ধরনের ইউপিডিএফ-বিরোধী অপপ্রচারণার নিগূঢ় উদ্দেশ্য হলো ইউপিডিএফের গায়ে ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসীর’ তকমা লাগিয়ে দিযে তার বিরুদ্ধে সেনা অভিযান পরিচালনার জন্য মিথ্যা যুক্তি খাড়া করা।
কিন্তু শত অপপ্রচারণা ও দমনপীড়ন সত্তেও ইউপিডিএফকে তার ন্যায়সঙ্গত গণতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে বিচ্যুত করা যাবে না বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন