ইচ্ছা থাকলে পিটার হাসের সঙ্গে ঢাকাতেই দেখা করতে পারতাম : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিন সকালে দেশের গণমাধ্যমগুলোতে খবর আসে সারজিস আলমসহ এনসিপির চার নেতা কক্সবাজারে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন। পরে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সবখানে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তবে অস্বীকার করে খবরটি ‘গুজব’ বলে দাবি করেছেন এনসিপি নেতারা।

এটা টোটালি একটা গুজব, মিস ইনফরমেশন। এ ধরনের কোনো কিছুই হয়নি।

কক্সবাজার থেকে বিবিসি বাংলাকে এমনটাই বলেছেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

এনসিপির এই নেতা দাবি করেন, তারা কেবল ভ্রমণের উদ্দেশেই কক্সবাজারে গিয়েছিলেন।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, হুট করে ঘুরতে এসেছিলাম, পদযাত্রাতে টায়ার্ড হয়ে গিয়েছিলাম। জাস্ট এমনি একটু সাগরপাড়ে ঘুরতে এসেছিলাম। বাট এখানে এসে দেখি, হোটেলে চেক ইন করে মাত্র বসছি, এর মধ্যেই এই নিউজ দেখছি।

এনসিপির আরও যেসব কেন্দ্রীয় নেতা তার সঙ্গে কক্সবাজার গেছেন তাদের মধ্যে দলটির উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের দুই মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এবং হাসনাত আবদুল্লাহও রয়েছেন। এছাড়াও ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা এবং তার স্বামী খালেদ সাইফুল্লাহ, যিনি এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রয়েছেন।

শেখ হাসিনার সরকার পতনের আন্দোলনে যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, গণঅভ্যুত্থানের একবছর পূর্তির দিনে সেই হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীদের কক্সবাজারে যাওয়ার ঘটনায় সন্দেহের জন্ম নিয়েছে অনেকের মনে।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, আমাদের দলের প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারির দাওয়াত কার্ড এসেছে। অ্যাজ ফার আই নো, দলের পক্ষ থেকে আমাদের একটা প্রতিনিধি দল সেখানে যাবে। প্রত্যেকটি দল থেকে ছোট ছোট প্রতিনিধি দল যাচ্ছে, আমাদেরও তাই।

সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনায় কক্সবাজার যাননি দাবি করে তিনি বলেন, এরকম হলে তো আমরা ঢাকাতেই দেখা করতে পারতাম। যদি দেখা করার ইচ্ছা থাকতো।