ইজ্জত রাখবেন, চাল ব্যবসায়ীদের খাদ্যমন্ত্রী
চালের দাম স্থিতিশীল রাখার আহ্বান জানিয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চাল ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগ উত্তরবঙ্গের। আমরা দুই মন্ত্রীও (বাণিজ্যমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রী) উত্তরবঙ্গের। তাই আপনাদের কাছে আমাদের দাবি, আপনারা আমাদের ইজ্জত রাখবেন।
বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) খাদ্য ভবনে চালকল মালিক এবং চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিও উপস্থিত ছিলেন।
সাধন মজুমদার বলেন, দেশে বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে ১৩ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিকটন খাদ্য মজুদ রয়েছে। কোনো ঘাটতি নেই। এরপরও কেন চালের দাম বাড়ছে আমরা তা জানি না।
তিনি বলেন, চালের বেশিভাগ ব্যবসায়ী উত্তরবঙ্গের। আমরা দুই মন্ত্রীও (বাণিজ্যমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রী) উত্তরবঙ্গের।
তাই নর্থ বেঙ্গলের ব্যবসায়ীদের কাছে আমাদের দাবি আপনারা আমাদের ইজ্জত রাখবেন। খাদ্যমূল্য স্থিতিশীলতায় আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন। এ সময় বিভিন্ন জেলার চাল ব্যবসায়ীরা চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সব ধরনের সহযোগিতা করতে আশ্বাস দেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা মূল্য বৃদ্ধির নিউজ লেখার আগে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করবো।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। পর্যাপ্ত মজুদও আছে। খাদ্যে কোনো সমস্যা নেই। যদি কোনো অসৎ উদ্দেশ্য না থাকে তাহলে চালের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।
সভায় চালকল মালিকদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বাংলাদেশ অটোমিলার অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলী খান বলেন, মিলগুলোতে চালের দাম বাড়েনি। নির্বাচনের সময় কিছু কিছু জায়গায় চিকন চালের দাম বেড়েছিল। তাও সর্বোচ্চ ৫০ পয়সা। তবে কোনো মিলে মোটা চালের দাম বাড়েনি বলে জানান তিনি।
নওগাঁর চাল ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন জানান, আজকে নওগাঁয় মিনিকেট চাল ৪৭ টাকা ৮০ পয়সা এ চাল ঢাকায় কিভাবে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা বিক্রি হয় এটা খতিয়ে দেখেন।
নির্বাচনের কারণে সরবরাহ ঘাটতি থাকায় দুই তিন দিন চালের দাম সামান্য বেড়েছিল। এটা সর্বোচ্চ ৫০ পয়সা। তবে মোটা চালের কোনো দাম বাড়েনি। বর্তমানে মিলে ৩০ টাকা ৬০ পয়সা দামে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে বলে জানান মিল মালিকরা।
ঢাকার বাবুবাজার-বাদামতলী আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি নিজাম উদ্দিন বলেন, নির্বাচনের সময় বিভিন্ন কারণে মোটা ও চিকন চালের দাম দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে। এখানে দেশে বড় বড় মিল ও আড়তদাররা আছেন। তারা যদি সিদ্ধান্ত নেন চালের দাম আর বাড়াবো না। তাহলে আর বাড়বে না। তারা যদি বলেন এক থেকে দুই টাকা চালের দাম কমবে তাহলে কাল থেকেই কমে যাবে। কারণ সারা দেশে তারাই চাল জোগান দেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন