ইতিহাসটা গড়তে পারবে কি বাংলাদেশ?
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জিতলে আইসিসির ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের ছয়ে উঠে যাবে মাশরাফির দল। সঙ্গে নিশ্চিত হবে ২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগও।
তার চেয়েও বেশি- বাংলাদেশের ক্রিকেট থেকে ঘুচে যাবে বড়সড় এক আক্ষেপ। বিদেশের মাটিতে এখনও যে নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারেননি টাইগাররা। আজ সেই আক্ষেপ ঘোঁচানোর পালা। জিতলেই বিদেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমবারের মতো হারানোর ইতিহাসটা গড়ে ফেলবেন মাশরাফি-সাকিবরা। ইতিহাসটা গড়তে পারবে কি বাংলাদেশ? টাইগার-ভক্তদের মাঝে বিরাজ করছে এমন প্রশ্নই।
ইতিহাস গড়তে বাংলাদেশের চাই ২৭১ রান। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৭০ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে দাঁড়ায় এ লক্ষ্যমাত্রা (২৭১)।
ঘরের মাটিতে নিউজিল্যান্ডকে বেশ কয়েকবার হারিয়েছে বাংলাদেশ। কিউইদের ধবলধোলাই করার সুখস্মৃতি রয়েছে টাইগারদের। দুঃখের বিষয়, বিদেশের মাটিতে এখনও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়টা অধরা। ত্রিদেশীয় সিরিজে কিউইদের হারানোর সুযোগ পেয়েছিলেন টাইগাররা।
কিন্তু ওই ম্যাচে বোলিংয়ে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান ছাড়া আর তেমন কেউ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। যে কারণে সুযোগটা হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের। কিউইদের কাছে চার উইকেটে পরাস্ত হন মাশরাফি-সাকিবরা। প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৫৭ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ৪৭.৩ ওভারেই (১৫ বল হাতে রেখে) জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে টম ল্যাথামের দল।
দেশের বাইরে ১৬ বার (আজকের ম্যাচ বাদে) নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। ১৬ বারের চেষ্টায় একবারও সফল হননি টাইগাররা। মাঠ ছেড়েছেন এক রাশ হতাশা নিয়ে। কিউইদেরকে ৮ বার হারিয়েছে টিম বাংলাদেশ। যার প্রত্যেকটিই ঘরের মাটিতে। বিদেশের মাটিতে এখনও পর্যন্ত এই একটি দলকেই পরাজয়ের স্বাদ উপহার দিতে পারেনি বাংলাদেশ। আজ হয়তো ইতিহাসটা গড়ে ফেলবেন মাশরাফিরা। বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তদের প্রত্যাশা এমনই।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন