ইতিহাসের নজিরবিহীন অভিশংসিত ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবনে হামলায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ‘অসম্মানজনকভাবে’ বিদায় দিতে দেশটির প্রতিনিধি পরিষদ প্রস্তুত।
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) ভোরে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিশংসনের প্রস্তাব পাস হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্ট অপরাধমূলক কোনো কাজে জড়িত হলে তাকে সরানোর হাতিয়ার হলো অভিশংসন।
বিবিসি সূত্রে জানা যায়, ডেমোক্রেটিক পার্টির আনা প্রস্তাবে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টিরও সমর্থন রয়েছে।
দেশটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির কন্যা লিজ চেনিসহ ১০ জন রিপাবলিকান নেতারাও এ প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছেন। প্রতিনিধি পরিষদে ৪৩৫ সদস্যের প্রস্তাবটি ২৩২-১৯৭ ভোটে পাস হয় বলে জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবনে হামলায় উসকানি দেওয়ার জন্যই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রস্তাবটি পাস হয়। সূত্র: সিএনএন।
নির্বাচনে হেরে ট্রাম্প আর মাত্র এক সপ্তাহ হোয়াইট হাউসে থাকছেন। প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হওয়া ট্রাম্পই দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি দুই বার অভিশংসিত হলেন।
প্রতিনিধি পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাবটি এখন চূড়ান্ত ভাবে পাস হওয়ার জন্য যাবে কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ সেনেটে শুনানিতে। ১০০ সদস্যের সেনেটে এখন ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান সমান সমান। সেখানে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য সম্মতি দিলেই ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তে বাধ্য। এ প্রক্রিয়ায় ট্রাম্পকে সারতে যদি তার মেয়াদ শেষের দিন (২০ জানুয়ারি) পেরিয়ে যায়, তবুও ট্রাম্প হয়তো আর কখনও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে বুধবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন প্রস্তাবে ভোটগ্রহণ হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে হেরে যান ট্রাম্প। আগামী ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন জো বাইডেন।
ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ২০২০ সালেও একবার প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হয়েছিলেন ট্রাম্প।
এবার গত বছরের নভেম্বরে ভোটের পর হার স্বীকার না করে উল্টো কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
গত ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসে জো বাইডেনের বিজয়ের স্বীকৃতি দেওয়ার পর যুক্তরাষ্টের ক্যাপিটল ভবনে বিক্ষুব্ধ ট্রাম্প সমর্থকরা হামলা চালায়। এ হামলার ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়।
ওই হামলার আগেই ট্রাম্প তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্য উগ্রতার প্ররোচনা ছিল বলে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা হয়। রিপাবলিকান পার্টির অনেক নেতাও এ সমালোচনায় অংশও নেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন