ইনিংস পরাজয়ের সামনে দাঁড়িয়ে ভারত
লর্ডস টেস্টে মিরাকল কিছু ঘটে না গেলে বিরাট কোহলির ভারতকে কেউ আর ইনিংস পরাজয় থেকে রক্ষা করতে পারবে না। এটা এখন দিবালোকের মত সত্য। প্রথম ইনিংসেই স্বাগতিক ইংল্যান্ডের চেয়ে ২৮৯ রান পিছিয়ে পড়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ইংলিশদের প্রথম ইনিংসের রানকে যে পেছনে ফেলবে সে সম্ভাবনাও নেই।
কারণ, ৬১ রানেই সফরকারীদের হারাতে হয়েছে ৬ উইকেট। হাতে আছে আর মাত্র ৪ উইকেট। এ রিপোর্ট লেখার সময় ভারতের রান ৬ উইকেট হারিয়ে ৯৬। এখনও ইনিংস পরাজয় এড়াতে হলে তাদের প্রয়োজন ১৯৩। দাঁতে দাঁত কামড়ে দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং হার্দিক পান্ডিয়া। ১৪ রানে পান্ডিয়া এবং ১৩ রান নিয়ে ব্যাট করছেন অশ্বিন।
ক্রিস ওকসের ১৩৭ রানের বিশাল ইনিংসের ওপর ভর করে প্রথম ইনিংসেই ইংল্যান্ড তুলে ফেলে ৩৯৬ রান। হারিয়েছিল ৭ উইকেট। এরপরই ইনিংস ঘোষণা করেন ইংলিশ অধিনায়ক জো রুট। ২৮৯ রানের লিড নিয়ে ভারতকে আমন্ত্রণ জানান দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার।
প্রথম ইনিংসে যে দল মাত্র ১০৭ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল, সেই দল দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের নেয়া ২৮৯ রানের লিড টপকাতে পারবে, তেমন সম্ভাবনা কম। সে কারণেই মূলতঃ আত্মবিশ্বাসী ছিল ইংল্যান্ড।
সেই আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান হয়েই শুরু থেকে ভারতীয় ইনিংসে আক্রমণ শানায় ইংলিশ পেসাররা। বিশেষ করে স্টুয়ার্ট ব্রডের বলেই সবচেয়ে বেশি দিশেহারা হয়ে পড়েন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। চেতেশ্বর পুজারা, আজিঙ্কা রাহানে, বিরাট কোহলি এবং দিনেশ কার্তিককে সাজঘরের পথ দেখান তিনি। ৬ উইকেটের মধ্যে ৪টিই নেন ব্রড। বাকি দুটি নেন জেমস অ্যান্ডারসন। মুরালি বিজয় এবং লোকেশ রাহুলকে ফিরিয়ে দিয়ে ভারতীয় ইনিংসে ধ্বস নামানোর শুরুটা করেন অ্যান্ডারসনই।
ভারতীয়দের মধ্যে পুজারা আর কোহলিই কেবল ১৭ রান করে সংগ্রহ করেন। মুরালি বিজয় আর দিনেশ কার্তিক আউট হন গোল্ডেন ডাক মেরে। এর আগে এজবাস্টন টেস্টেও ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছিল ভারত।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন