ইন্দোনেশিয়ার তৈরি পোশাকের বাজারে বাংলাদেশের প্রবেশ সহজ করার আহ্বান

ইন্দোনেশিয়ায় তৈরি পোশাক পণ্যের বাজারে বাংলাদেশের প্রবেশ সহজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাকার্তায় ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদির সঙ্গে বৈঠককালে এ কথা বলেন তিনি।

সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৩০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ায় সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন ড. মোমেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের আমদানি ও রফতানির পরিমাণে ভারসাম্যহীনতার বিষয়টি উল্লেখ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইন্দোনেশিয়ার বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের রফতানি প্রচারের মাধ্যমেই এই ব্যবধান কমানো যেতে পারে। বিশেষ করে যেসব পণ্যে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা রয়েছে।

আসিয়ান অঞ্চলে ইন্দোনেশিয়াকে বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সম্পূরক শক্তি ও সম্পদের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরো বাড়ানোর প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।

দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি শিগগিরই চূড়ান্ত হবে বলে তিনি আশা করছেন।

দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা, আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টা ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনসহ দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

দুই দেশের সাংস্কৃতিক সাদৃশ্য ও জনগণের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক বন্ধন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারসুদি। এ বন্ধন আরো শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের নতুন উপায় অন্বেষণের ওপর জোর দেন তিনি।

মন্ত্রীরা জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহযোগিতা বাড়ানোর সম্ভাবনার ওপর জোর দেন।

বৈঠকে দুই মন্ত্রী জ্বালানি খাতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। ড. মোমেন বাংলাদেশের পক্ষে কৃষি সহযোগিতায় একটি দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারকেও স্বাক্ষর করেন।

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডোর আমন্ত্রণে ৪৩তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন ও ১৮তম পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন ড. মোমেন। এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।