ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে সরানো হচ্ছে
মুসলিম বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া তাদের রাজধানী জাকার্তা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেছে। মঙ্গলবার দেশটির পরিকল্পনা মন্ত্রী ব্যামব্যাঙ ব্রোদজোনেগোরোর বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইন্দোনেশীয় এই মন্ত্রী বলেছেন, রাজধানী স্থানান্তরে গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। রাজধানীর নতুন স্থানের নাম এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। তবে দেশটির গণমাধ্যম বলছে, সম্ভাব্য রাজধানী হিসেবে বোর্নিও দ্বীপের পালঙ্কারায়া প্রথম দিকে রয়েছে।
এক কোটিরও বেশি মানুষের বসবাস বর্তমান রাজধানী জাকার্তায়; বিশ্বের দ্রুত ডুবতে থাকা শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম।
চলতি মাসের শুরুর দিকে দেশটির সাধারণ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর জয়ের পর রাজধানী স্থানান্তরের এই ঘোষণা এল। তবে রাজধানী হিসেবে নতুন স্থানের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে আগামী ২৩ মে।
রাজধানী সরছে কেন?
১৯৪৫ সালে নেদারল্যান্ডসের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটির রাজধানী স্থানান্তরের পরিকল্পনা বেশ কয়েকবার নেয়া হয়েছিল। ২০১৬ সালের এক জরিপে দেখা যায়, বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ ট্র্যাফিক ব্যবস্থা এই মেগা সিটির। সঠিক সময়ে বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার জন্য সরকারি মন্ত্রীরা পুলিশের সহায়তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে যান।
দেশটির পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেছেন, ট্রাফিক জ্যাম নিয়ন্ত্রণের পেছনে বছরে প্রায় ১০০ ট্রিলিয়ন ইন্দোনেশীয় রূপি ব্যয় হয়। এছাড়া দ্রুত ডুবতে থাকা বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ শহরগুলোর অন্যতম একটি হলো জাকার্তা।
গবেষকরা বলছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে ইন্দোনেশীয় এই শহরের বৃহৎ একটি অংশ পুরোপুরি তলিয়ে যাবে। উত্তর জাকার্তা ইতোমধ্যে আড়াই মিটার তলিয়ে গেছে। এছাড়া প্রত্যেক বছরে গড়ে ১ থেকে দেড় সেন্টিমিটার করে তলে যাচ্ছে। উপকূলীয় এই রাজধানীর চারপাশ বেয়ে চলে গেছে ১৩টি নদী।
জাকার্তার অর্ধেক অংশ এখন সমুদ্র সীমার নিচে। যেসব কারণে রাজধানী জাকার্তা তলিয়ে যাচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম প্রধান হলো ভূগর্ভ থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার এবং গোসলের পানি উত্তোলন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন