ইন্দোনেশিয়ায় মিয়ানমার দূতাবাসে ককটেল নিক্ষেপ

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তাতে মিয়ানমার দূতাবাসে একটি মলোটভ ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। রোববার সকালে এই ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় কিছু সময়ের জন্য আগুন লেগে গিয়েছিল। খবর রয়টার্সের।

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর চলা সাম্প্রতিক নৃশংসতায় জনসংখ্যায় বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইন্দোনেশিয়ার মুসলমানরা এ বিষয়ে তাদের নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে আসছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমার দূতাবাসে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

দূতাবাসের পেছনে দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা সকালে দেখতে পান ভবনটির দ্বিতীয় তলায় আগুন জ্বলছে। তিনি দ্রুত দূতাবাসের সামনের গেইটে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করেন।

আগুন নেভানোর পর পুলিশ একটি ভাঙ্গা বিয়ারের বোতল দেখতে পান, যাতে একটি সলতে লাগানো ছিল। তখন দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা ককটেল হামলা সম্পর্কে নিশ্চিত হন। অজ্ঞাতনামা হামলাকারী একটি এমপিভি গাড়ি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন বলে সন্দেহ পুলিশের।

জাকার্তা পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত করছে বলে জানায় পুলিশের মুখপাত্র আরগো ইয়োনো। ককটেল হামলার উদ্দেশ্য এখনো জানতে পারেনি পুলিশ এবং কোনো পক্ষ এ হামলার দায়ও স্বীকার করেনি।

উল্লেখ্য, গতকাল একদল বিক্ষোভকারী মিয়ানমার দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করে। তারা বর্মি নেত্রী অং সান সুচির নোবেল পুরস্কার বাতিল করার জন্য নোবেল কমিটির কাছে আহ্বান জানায়।

রোববারও রাজধানী জাকার্তাতে বেশ কয়েকটি গ্রুপকে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের উপর চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ইন্দোনেশিয়া সরকারের সক্রিয় অংশগ্রহণের দাবি তোলা হয়।

মিয়ানমারের ১১ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর সেখানকার সরকারের পলিসি নিয়ে বিশ্বজুড়ে নিন্দার শিকার হচ্ছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নেত্রী অং সান সুচি। সমালোচকদের অভিযোগ এই সংখ্যালঘুদের নিয়ে ইতিবাচক কিছু করছেন না সুচি।

বিভিন্ন সাহায্যকারী সংগঠনগুলোর দেওয়া তথ্যের বরাতে জানা যায় গত এক সপ্তাহে প্রায় ৭৩ হাজার রোহিঙ্গা রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়েছে, যার বড় অংশটাই বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে।