‘ইফতারে ভেজাল দিলেই শাস্তি’
ইফতার সামগ্রীতে কোনো ধরনের ভেজালের প্রমাণ পেলেই বিক্রেতাকে কঠোর শাস্তি পেতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, ‘যদি কোনো পণ্যে ভেজাল পাওয়া যায় ও তা যদি প্রমাণিত হয় তাহলে বিক্রেতাকে তাৎক্ষণিকভাবে জেল জরিমানা করা হবে। এর জন্য কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
রবিবার প্রথম রোজার দিন রাজধানীর চকবাজার ইফতার বাজার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মেয়র। বেলা সাড়ে তিনটা নাগাদ চকবাজারের ইফতার পরিদর্শনে আসেন তিনি। এসময় তিনি প্রায় প্রতিটি দোকান ঘুরে দেখেন। পণ্যে ভেজাল আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখেন। পরিদর্শনে তিনি বিক্রেতাদের ভেজাল না দেয়ার জন্য আহ্বান জানান।
রোজায় ইফতারের ঐহিত্যবাহী বাজারগুলোর একটি পুরান ঢাকার চকবাজার। পুরান ঢাকা তো বটেই, দূর দূরান্ত থেকেও ইফতার সামগ্রী কিনতে সেখানে ভিড় জমায় সবাই।
এবারও প্রথম রোজাতেই দুপুরের পর থেকেই নানা ধরনের ইফতার পণ্য কিনতে ভিড় করে নগরবাসী। আর বুট, বড়া, ছোলার মত সনাতন ইফতার সামগ্রীর পাশাপাশি পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী নানা ধরনের কাবাব, শরবত, জিলাপি, তেহারী, বিরিয়ানি, পোলাও, মাংসের নানা উপাদান, মিষ্টান্ন কেনাবেচা চলছে দেদারসে।
ক্রেতারা ইফতার কিনছে মনে সংশয় নিয়েই। কারণ, ইফতার সামগ্রীতে রঙসহ ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহারের ঘটনা আগের চেয়ে কমে আসলেও পুরোপুরি দূর হয়নি। সেই সঙ্গে পুরান তেলে ভাজা, নিম্নমানের উপাদান নিয়ে নোংরা পরিবেশে ইফতার সামগ্রী তৈরির প্রবণতাও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। আবার একদিনের বেচে যাওয়া উপাদান পরদিন ব্যবহারের অভিযোগও আছে।
মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘এবারের রোজায় সব ধরণের পণ্য আমাদের নজরদারির মধ্যে থাকবে। কোথাও কারও বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পেলে কেউ রেহাই পাবে না।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন