ইবরাহিমের নেতৃত্বে নতুন জোট ‘যুক্তফ্রন্ট’, নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (হাতঘড়ি), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (হাতপাঞ্জা) ও জাতীয় পার্টি (কাঁঠাল)-এ তিন দলের সমন্বয়ে যুক্তফ্রন্ট নামে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছে এ ৩ দল।

নতুন এ জোটের প্রধান কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জোটগতভাবে আমরা অংশ নেবো। আমরা ২০২৪ সালের নির্বাচন জাতি ও বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে চাই।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আশা করি, নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে।

২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৮ আসনে ৩৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে কোন প্রার্থীই বিজয়ী হয়নি।

সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে সরকার লোভনীয় প্রস্তাব ও সরকারের চাপ থাকা সত্ত্বেও আমরা নির্বাচনে যাইনি। ২০১৮ সালের আমাদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট থেকে অন্য জোটের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য, কিন্তু আমরা যাইনি বরং বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেছি। এবার জাতির বৃহত্তর স্বার্থে নির্বাচনে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে যাওয়ার জন্য ২০১৪ সালে আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। তীব্র চাপ থাকার পরও আমরা সেই নির্বাচনে যাইনি। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে থেকে আন্দোলন করেছি। আর ২০১৮ সালে আমন্ত্রণ ছিল ২০ দল থেকে বের হয়ে নির্বাচন করার জন্য। কিন্তু আমরা ২০ দলের থেকেই নির্বাচন করেছি। আর বিএনপির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবো। কারণ তাদের কাছে আমরা রাজনীতি শিখেছি। একা রাজনীতি শেখা যায় না।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ২০১৮ সালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল। কিন্তু সেটি ভুলে আবার পথচলা শুরু করেছি।

যুগপৎ আন্দোলনের জোট ১২ দলীয় জোটের এ শীর্ষ নেতা বলেন, আশা করছি আগামী নির্বাচন অতীতের চেয়ে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হবে। তাই আমরা আবেদন করছি, সরকার যেন সুন্দর, অংশগ্রহণ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা করেছে তা অব্যাহত রাখে। আর সংলাপের দরজা যাতে বন্ধ না করেন।

সংবাদ সম্মেলনে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. জাফর আহমেদ জয়, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরীসহ তিনটি দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।