ইবিতে আবৃতি ও কন্ঠতরঙ্গের যৌথ আবৃত্তি অনুষ্ঠান

মহিবুল্লাহ নোমান ও সুইটি পালের যৌথ সঞ্চালনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবৃত্তি আবৃত্তি ও কন্ঠতরঙ্গের যৌথ আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১১ টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ১১৬ নাম্বার রুমে যৌথ আবৃত্তি অনুষ্ঠান হয়েছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কণ্ঠতরঙ্গের সদস্য ও আবৃত্তি আবৃত্তির আজীবন সদস্য রেজাউল করিম বিপ্লব। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আবৃত্তি আবৃত্তির আজীবন সদস্য খান মাজহারুল ইসলাম টিপু ও গোলাম রব্বানী, বিপেন রায়, অনুষ্ঠানবিষয়ক সম্পাদক আতিক মুনিম এবং আবৃত্তি আবৃত্তি ও কণ্ঠতরঙ্গের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে আবৃত্তি আবৃত্তির সভাপতি বলেন, “এটি কেবল একটি কবিতা পাঠ বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়; এটি মূলত টিপু ভাইয়ের প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার প্রকাশ। আমার কবিতার হাতেখড়ি বলা যায় টিপু ভাইয়ের কাছ থেকেই। তাঁর হাত ধরেই আবৃত্তি আবৃত্তি ও কণ্ঠতরঙ্গ আজ এই পর্যায়ে পৌঁছেছে। আমরা আশাবাদী, ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু উপহার দিতে পারব।”
খান মাজহারুল ইসলাম টিপু বলেন, ১০০ বছর পর যদি আমার কবিতা নিয়ে কেউ আনন্দ করে, সেটাই হবে আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া। আমি যা রেখে গেছি, যদি তা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, সেটাই আমার সার্থকতা। আজকে যেমন আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বা কাজী নজরুল ইসলামের কথা বলি তাঁরা আজ আর আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁরা যা দিয়েছেন, আমরা তা গ্রহণ করছি, তা থেকে আনন্দ পাচ্ছি।
তারা মানুষকে ভালো কিছু দিয়েছেন, প্রিয় কিছু কথা বা উপলব্ধি উপহার দিয়েছেন সেই উপহারগুলো আজ আমাদের কাছে স্বর্ণের মতো হয়ে উঠেছে। সব কথা হয়তো স্বর্ণ হয়ে ওঠে না, কিন্তু কিছু কথা মানুষের হৃদয়ে পাত্রভর্তি স্বর্ণ হয়ে ফিরে আসে। এই উপলব্ধিটুকুই আমার প্রাপ্তি। তাই আমি বলি, জীবনে আমার আর কিছু চাওয়ার নেই। আমি গর্ব করে বলতে পারি, ‘আবারো একজন রবীন্দ্রনাথ লিখেছে’।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন