ইবিতে ককটেল সাদৃশ্য ৬টি বস্তু উদ্ধার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পৃথক পৃথক এলাকা থেকে ছয়টি ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় অভিযান জালিয়ে চারটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ। এর আগে ১১ জানুয়ারি রাত পোনে দুইটায় আরো দুইটি ককটেল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরে বিকাল ৩ টায় ইবি থানা পুলিশের একটি টিম ক্যাম্পাসজুড়ে তল্লাশি চালিয়েছে।
জানা যায়, শুক্রবার সকাল ৭টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ছয়টি ককটেল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ব্যবসায় অনুষদ ভবনের পাশে দুইটি, লালন শাহ হলের পকেট গেইটে দুইটি, জিয়া হলের সামনে একটি এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে একটি ককটেল সদৃশ বস্তু পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, রাত পোনে দুইটার দিকে গোয়েন্দা বাহিনীর মাধ্যমে তথ্যটি জানতে পারি। এখন পর্যন্ত ছয়টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। ইবি থানা পুলিশের সহায়তায় সবগুলো নিষ্ক্রিয় করে উদ্ধার করা হয়েছে। ক্যাম্পাস খোলার পরপরই এমন ঘটনা আতঙ্কজনক। স্পেশাল টিম এনে পুরো ক্যাম্পাসে অভিযান চালানো হবে।
তিনি আরও বলেন, কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে এখনো জানা যায়নি। তদন্তসাপেক্ষে প্রশাসনিকভাবে আমরা ব্যবস্থা নেব।
এদিকে উদ্ধারকৃত বস্তুগুলো ককটেল কি-না জানতে চাইলে ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুনুর রহমান বলেন, শুধুমাত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এখন ভিসি স্যারের সাথে জরুরি মিটিং আছে। পরে বিস্তারিত জেনে দুপুরের পর জানাতে পারবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, কোন অদৃশ্য শক্তি শিক্ষার্থীদের মাঝে ভীতিসঞ্চার করার জন্য এমনটি করে থাকতে পারে। বস্তুগুলো আদৌ ককটেল কি-না নিশ্চিত হওয়ার জন্য স্পেশাল টিমকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আগামীকাল ইবি থানায় একটি জিডি করবো। সবমিলিয়ে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন