ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন, অভিযুক্ত পাঁচজন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের ছাত্রী নির্যাতন ও বিবস্ত্রের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধূরী অন্তরাসহ অন্য চার সহযোগীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (২১ আগস্ট) বিকাল চারটার দিকে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের নির্দেশনা মোতাবেক তাদের আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে
বহিষ্কৃত অন্যরা হলেন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী। তারা সবাই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এর আগে ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট কোড অফ কন্ডাক্ট-১৯৮৭ এর ২ অধ্যায় এর ৮ ধারা অনুযায়ী ১ বছরের জন্য তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তবে এই শাস্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী বিধি সম্মত হয়নি বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। এছাড়াও এই রায়কে অকার্যকর করেন হাইকোর্ট বেঞ্চ। একইসঙ্গে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোড অব কন্ডাক্টের প্রথম ভাগের ৪, ৫, ৭ ও দ্বিতীয় ভাগের ২ (৮) ধারায় সাজা দিয়ে উপাচার্যকে আগামী ২৩শে আগস্ট প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেন আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগের সহ- সভাপতি সানজিদা চৌধূরী অন্তরা কর্তৃক ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের অনাবাসিক ছাত্রীকে রাতভর র্যাগিং ও নির্যাতনের এর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগ এবং হাইকোর্ট কর্তৃক পৃথক পৃথক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।গঠিত তদন্ত কমিটিগুলোতে ফুলপরীকে নির্যাতনের সত্যতা পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের হল ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন