ইবিতে প্রক্টরের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন, সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে কমিটি
জিসান নজরুল, ইবি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকাল এগারোটায় প্রশাসন ভবনের সামনে এই মানববন্ধন হয়। পরে একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলীর নিকট স্মারকলিপি দেন তারা। এছাড়া গত শনিবার রাতে আইন বিভাগ ও আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘটিত মারামারির ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, কমিটিতে শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আবদুল কাদেরকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটিতে অন্য সদস্যরা হলেন- ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ। এছাড়া সচিব হিসেবে রয়েছেন তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার সাহেদ হাসান।
এদিকে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। তারা বলেন, দুই বিভাগের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে প্রক্টর স্যারের উপর কাপুরুষোচিত হামলা হয়েছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তার উপর এমন বর্বরোচিত হামলা সমস্ত শিক্ষক সমাজের জন্য অবমাননাকর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, ঘটনাটি উদ্ঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যদি তদন্ত রিপোর্ট মনঃপুত না হয় প্রয়োজনে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের জন্য উপাচার্যের নিকট আবেদন জানাব।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সানন্দা বাসে সিট ধরা নিয়ে আইন বিভাগের সুমন অভ্র সঙ্গে আল-ফিকহের রাকিবের বাকবিতণ্ডা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনার জের ধরেই উভয়পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় মারামারি হয়। মারামারি থামাতে গেলে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামানসহ উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও আহত হন। এছাড়া উভয়পক্ষের ১৩ শিক্ষার্থী আহত হন। পরেরদিন সকালে প্রক্টর ও অন্যান্য শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন