ইবির যাবতীয় সমস্যা দূরীকরণে ছাত্রলীগের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) এর সকল সমস্যা দূরীকরণে ৩৩ দফা দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছে ইবি শাখা ছাত্রলীগ।

সোমবার (৯ মে) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে উপাচার্যের হাতে এ স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ও প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি দেবাশীষ শর্মা। এছাড়াও ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তন্ময় সাহা টনি, আরিফুল ইসলাম খান, বনি আমিন, মৃদুল হাসান রাব্বি ও মামুনুর রশিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম ও হোসাইন মজুমদার সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপিতে উল্লেখিত ৩৩ দফা দাবিগুলো হলো,
১. বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
২. আবাসিক হলের লাইব্রেরিতে মানসম্মত বই ও পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হলের খাবারের মান বৃদ্ধি করতে হবে।
৪. আবাসিক সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল ও ভবনসমূহে দ্রুতগতির ওয়াইফাই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৬. স্বপ্নের মেগা প্রজেক্ট দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে।
৭. শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৮. শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৯. বিশ্ববিদ্যালয়ের চারিদিকে প্রাচীর সংস্কার ও মেরামত করতে হবে।
১০. টিএসসিসিতে নিয়মিত সভা-সেমিনার করার ব্যপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
১১. পরিবহন ভোগান্তি নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
১২. চিকিৎসা কেন্দ্রে মানসম্মত ও জরুরী চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
১৩. পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের ভোগান্তি নিরসনে উক্ত অফিস ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
১৪. ব্যাংকে ই- ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
১৫. সার্টিফিকেট উত্তোলনের ভোগান্তি নিরসনের লক্ষ্যে উক্ত অফিস ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
১৬. বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে।
১৭. প্রভোষ্ট ও আবাসিক শিক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। ১৮. বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে।
১৯. নিয়মিত ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চা নিশ্চিত করতে হবে।
২০. মশা নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২১. আবাসিক হলসমূহে মানসম্মত ওয়াশরুমের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
২২. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় করার লক্ষ্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২৩. ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।
২৪. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে সবুজ ক্যাম্পাসে রুপান্তরিত করার লক্ষ্যে অধিক সংখ্যক ফলজ, বনজ, ঔষধি গাছ লাগানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
২৫. জাতীয় স্থাপনাগুলোর সঠিক পরিচর্যা নিশ্চিত করতে হবে।
২৬. টিএসসিসি সার্বক্ষণিক শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে।
২৭। কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি সকল শিক্ষার্থীর জন্য সার্বক্ষণিক খোলা রাখতে হবে।
২৮. সকল শিক্ষার্থীর জন্য আধুনিক স্মার্ট কার্ড নিশ্চিত করতে হবে।
২৯. বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে।
৩০. শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়িত্বের ব্যপারে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
৩১. উপরোক্ত সকল যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ৩২। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত জার্নাল ওয়েবসাইটে অনলাইনে প্রকাশ করতে হবে। ৩৩। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে হবে।

নাসিম আহমেদ জয় বলেন, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের যাবতীয় সমস্যাগুলো খুঁজে বের করে উপাচার্যের বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছি। আমরা আশা করি, শিক্ষার্থীদের এ ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবিগুলো প্রশাসন মেনে নিবে এবং অতিদ্রুত পদক্ষেপ নিবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘আমরা আপনাদের যৌক্তক দাবিগুলোর সাথে সম্পূর্ণরূপে একমত। আমাদেরকে পর্যবেক্ষণ করতে দিন। দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আমরাও সন্তুষ্টি অনুভব করবো। এক্ষেত্রে আমরা সকলের সহযোগিতা কামনা করি।