ইবি ল্যাব. স্কুল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
বাকি বেতন ভাতা চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
জানা যায়, প্রতিবছর ইউজিসি ইবি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের জন্য ২০ লক্ষ টাকার বার্ষিক থোক বরাদ্দ দিয়ে থাকে। এ বরাদ্দ দিয়ে দুই-তিন মাস পরিচালনা করা যায় প্রতিষ্ঠানটি। অন্য মাসগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ আয় দিয়ে পরিচালিত হয়। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ সংকটের কারণে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ হয়ে গেছে। এটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইইআর বিভাগ। তবে পর্যাপ্ত ফান্ড না থাকায় শিক্ষকদের বেতন দিতে পারছে না বিভাগটি। সম্প্রতি সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির ফলে বিশ্ববিদ্যালয় অর্থ সংকটে পড়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য ফান্ড থেকেও বেতন পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত ডিসেম্বর থেকে তারা এ বেতন পাচ্ছে না বলে জানিয়েছে শিক্ষকরা।
মানববন্ধনে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মুজাম্মিল হক মোল্লাহ ও সহকারী শিক্ষক গোলাম মামুনসহ ১২ জন শিক্ষক এবং ৩ জন কর্মচারী অংশ নেন। এসময় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী শিক্ষকদের বেতন ভাতা প্রদান সম্বলিত বিভিন্ন দাবিসহ প্ল্যাকার্ড নিয়ে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও স্কুল এন্ড কলেজ রয়েছে। মঞ্জুরি কমিশন সকলকে একই রকম থোক বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা যথানিয়মে বেতন পেলেও শুধু আমাদের বেতন বন্ধ রয়েছে। ইতোপূর্বে আমি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারাসহ সকলের সাথে কথা বলেছি তখন তারা বেতনের আশ্বাস দিয়েছে। তবে এক মাস পার হলেও আমরা বেতন পাইনি। প্রশাসনের সবাই বেতন পাচ্ছে শুধু আমরা পাচ্ছি না।
ইবি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুজাম্মিল হক মোল্লাহ বলেন, উপাচার্য প্রথমে বেতন দেওয়ার আশ্বাস দিলেও দ্বিতীয়বার দেখা করতে গেলে আমার সাথে তিনি রুঢ় আচরণ করছেন। এবং বলেন আমার কাছে কেন আসছেন আমি কি আপনাকে নিয়োগ দিয়েছি! আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমাদের বেতন পরিশোধ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইইআর’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, আমাদের ফান্ডে অর্থের সংকট রয়েছে। তাই আমরা বেতন দিতে পারছি না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ইউজিসি এ প্রতিষ্ঠানের জন্য যে পরিমাণ অর্থ দেয়। তা দিয়ে এটি দুই-তিন মাস পরিচালনা করা সম্ভব। ব্যয় সংকোচন নীতির ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ফান্ড থেকেও এ বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। শীঘ্রই এ বিষয়ে ইউজিসি কর্তৃপক্ষের সাথে আমরা কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যাবো।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন