ইবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে টানা ২৯০ মিনিট মহাসড়ক অবরোধ

চলমান কোটা বৈষম্যবিরোধী ও সংস্কারের দাবিতে সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ কার্যক্রম এর অংশ হিসেবে রাজপথে নেমেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১০ জুলাই) বেলা ১১.০০ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে নাচ-গানে মেতেছে আন্দোলনকারীরা।

সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একই দাবি নিয়ে ষষ্ঠ বারের মতো চলমান বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছে। ‘কখনো মহাসড়ক অবরোধ কখনোবা শিক্ষার্থীদের সুবিশাল পদযাত্রা’ আন্দোলনের ধরন যেমনই হোক কোটা সংস্কারের অভিন্ন দাবিতে এক ছাতার নিচে এসব শিক্ষার্থী। ‘৫৬% কোটা, ৪৪% প্রশ্ন ফাঁস, মেধাবীরা অটো বাদ’ এমন প্লেকার্ডও বহন করেছে আন্দোলনকারীরা।

কারণ হিসেবে ‘বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে ৫৬ শতাংশ, ১ম ও ২য় শ্রেণী নন ক্যাডার জবে ৬১ শতাংশ কিংবা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ৯৬ শতাংশ কোটা বিরাজমান’ এতে প্রকৃত মেধা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে দাবি তাদের।

টানা ২৯০ মিনিটের অবরুদ্ধ মহাসড়কে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘আমরা পড়ার টেবিলে বসতে চাই, রাস্তায় না’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘কোটা না মেধা? মেধা মেধা’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘আপস না সংগ্রাম? সংগ্রাম সংগ্রাম’ এসব স্লোগানে মহাসড়ক প্রাঙ্গন মাতিয়ে রাখেন।

এছাড়াও কোটা বৈষম্যের সংস্কার, ২০১৮ এর পরিপত্র বহাল ও মেধা ভিত্তিক নিয়োগ এর জোড়ালো দাবি আসে সকল এর মধ্য থেকে। এদিকে দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুশিয়ার দেন এসব শিক্ষার্থীরা।

অবরুদ্ধ মহাসড়কে আটকে থাকা ট্রাক ড্রাইবারের নিকট জানতে চাইলে বলেন, রাস্তায় আমাকে কয়েকঘন্টা অপেক্ষা করা লাগলেও আমি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সমর্থন করি। কারণ আমার সন্তানও অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে বেকার হয়ে আছে। তাকে আমিও চাকরি দিতে পারছি না। দ্বিতীয়ত আমার মেয়ে কয়দিন পর ফার্মেসী থেকে অনার্স শেষ করবে। তারও যে চাকরি হবে সে নিশ্চয়তা নেই।