ইভিএমে কারচুপি অসম্ভব : ভারতের সিইসি
ভারতের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে যেসব ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) রয়েছে, তাতে কোনোভাবেই কারচুপি করা সম্ভব নয়। এমনকি ইভিএমে কারচুপি করা যায় কি না, তা প্রমাণের সুযোগও সব রাজনৈতিক দলকে দেয়া হবে।
ইভিএম সম্পর্কে দলগুলোকে নিশ্চয়তা দিতে এভাবেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসিম জায়দি।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) ভারতের সব রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক দলের সঙ্গে বৈঠকের পর নাসিম জায়দি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। ইভিএমে কারচুপির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইসি ওই বৈঠক ডেকেছিল।
বৈঠকে দেশের সাত রাষ্ট্রীয় ও ৩৫টি আঞ্চলিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সাড়ে সাত ঘণ্টা ধরে চলা ওই বৈঠকে বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরাও সিইসিকে নির্বাচন নিয়ে পরামর্শ দেন। চলতি সপ্তায় দিল্লির ক্ষমতাসীন দল আম আদমি পার্টি বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকে ইভিএমে কারচুপির প্রমাণ দিয়েছিল। তা নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয় তোলপাড়।
শুক্রবারের (১২ মে) বৈঠকেও দলটির নেতারা সেই দাবি করেন। কিন্তু ইসির পক্ষ থেকে তাদের বলা হয়, তারা যে নকল ইভিএমে কারচুপি দেখিয়েছেন, কমিশনের ইভিএমে তা সম্ভব নয়।
তারপরও ইসির পক্ষ থেকে বলা হয়, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর সন্দেহ দূর করার ব্যবস্থা করবে কমিশন। ইভিএমে কারচুপি করে দেখাতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আবার ডাকা হবে।
সিইসি জানান, ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিটি ইভিএমের সঙ্গে ভোটার ভেরিফায়েড পেপার অডিট ট্রেল (ভিভিপ্যাট) মেশিন লাগানো হবে, যা ভোটারকে জানিয়ে দেবে তিনি কাকে ভোট দিয়েছেন। ভোটার ইভিএমে প্রার্থীর নামের পাশের বোতাম টেপার সঙ্গে সঙ্গে এই মেশিন থেকে সেই প্রার্থীর নাম বা প্রতীকসহ কাগজ বেরিয়ে আসবে। সেই কাগজই প্রমাণ দেবে সঠিক ভোটের।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন