ইভ্যালির গ্রাহকদের টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু

ধাপে ধাপে টাকা ফেরত পাচ্ছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির গ্রাহকরা। এরই মধ্যে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা ফেরত পেয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ১৪ গ্রাহক। গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ধাপে ধাপে অন্যান্য গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

এসএসএল সার্ভিসের মাধ্যমে পেমেন্ট করা ১৪টি লেনদেনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম ধাপে ১৪ জন গ্রাহককে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৬৭ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উপসচিব মুহাম্মদ সাঈদ আলী সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিকে টাকা দিয়ে পণ্যও পাননি, আবার টাকাও ফেরত পাননি-এমন গ্রাহক কতজন আছে তা জানে না সরকার অর্থাৎ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এমনকি ইভ্যালিও জানে না। তবে ইভ্যালি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১৪, ১৫ ও ১৬ তারিখের একটি হিসাব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানায়, প্রক্রিয়াটি কেবল শুরু হয়েছে। এ দফায় টাকা দেওয়া হয়েছে এসএসএল কমার্জ থেকে। এ গেটওয়েতে আরও টাকা আছে। বাকি টাকা ধীরে ধীরে দেওয়া হবে।

জানা গেছে, আটকে থাকা ২৬ কোটি টাকার মধ্যে শুধু নগদের কাছেই ১৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা রয়েছে। বিকাশে ৪ কোটি ৯১ লাখ ও এসএসএল কমার্জে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা আটকে আছে। আরও কিছু টাকা রয়েছে সাউথইস্ট ব্যাংক ও উপায় নামক গেটওয়েতে। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কমার্স সেল গত ডিসেম্বরে গ্রাহকের সংখ্যা এবং পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা অর্থের পরিমাণ জানাতে বললেও ইভ্যালি পুরোপুরি তথ্য দিতে পারেনি।

এত দিন কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের দায়িত্বে ছিলেন সদ্য অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান। এ পদে নতুন কেউ নিয়োগ পাননি। ফলে সেলের একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে কাজ করছেন উপসচিব মুহাম্মদ সাঈদ আলী।

হাইকোর্টের আদেশে গত ২৮ অক্টোবর ইভ্যালি নতুনভাবে কার্যক্রম চালু করে। ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নতুন পর্ষদ এখন প্রতিষ্ঠানটি চালাচ্ছে। পর্ষদে শামীমা নাসরিনের আত্মীয়স্বজনই বেশি।

২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির এক গ্রাহক জালিয়াতি ও আত্মসাতের অভিযোগ এনে মোহাম্মদ রাসেল ও শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করলে পরদিন রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। শামীমা নাসরিন জামিনে বের হলেও মোহাম্মদ রাসেল এখনো কারাগারে।