ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান সাবেক স্ত্রী জেমিমা
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে নওয়াজ শরিফ সরে দাঁড়ানোর পর তাতে উল্লাস প্রকাশ করেছেন দেশটির রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানের প্রক্তন স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথ। শুক্রবার নওয়াজের পদত্যাগের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন তিনি।
পাকিস্তানি গণমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাশাপাশি সাবেক স্বামী ইমরান খানের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন এই নারী। তিনি আগামী নির্বাচনে তাকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছেন।
১৯৯৯ সালে জেমিমা যখন দ্বিতীয় সন্তানের মা হতে যাচ্ছিলেন, তখন তাকে জেলে নিতে চেয়েছিল নওয়াজ সরকার। তখনও ইমরান খানের সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয় নি। ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে লন্ডনে মায়ের কাছে ৩৯৭টি টাইলস পাঠাচ্ছিলেন জেমিমা। কিন্তু তা আটকে দেয় পাকিস্তানের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তার বিরুদ্ধে আনা হয় পাচারের অভিযোগ।
সেই স্মৃতি স্মরণ করে জেমিমা টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি তখন দ্বিতীয় সন্তানের মা হতে যাচ্ছি। পাচারের অভিযোগে যে ব্যক্তি আমাকে জেলে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তার থেকে মুক্তি মিলেছে। এটা সুখের খবর।’জেমিমা গোল্ডস্মিত একজন ব্রিটিশ সাংবাদিক। নওয়াজ শরিফের বিদায়ে তিনি আবেগ ধরে রাখতে পারেন নি বলেও এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়।
উল্লেখ্য, জেমিমার বিরুদ্ধে যে পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল, তিনি প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী পাচার করছিলেন। প্রত্নতাত্ত্ব বিভাগ থেকে ওই টাইলস পরীক্ষা করে এমন ঘোষণা দেয়া হয়। পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী প্রত্নতাত্ত্বিক কোনো জিনিসপত্র বিদেশে পাঠানো অবৈধ এবং জামিন অযোগ্য অপরাধ। ফলে ১৯৯৯ সালের জানুয়ারিতে জেমিমা গোল্ডস্মিথের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
ওই সময় মিথ্যা মামলায় জেমিমাকে হেয় করার চেষ্টা করছে সরকার- এমন অভিযোগ করেছিলেন ইমরান খান। তখন নওয়াজ শরিফ সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। নওয়াজকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতায় আসেন সাবেক সেনাপ্রধান ও প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ। এরপর ১৯৯৯ সালের নভেম্বরে অভিযোগের মুখোমুখি দাঁড়াতে পাকিস্তানে ফিরে আসেন জেমিমা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন