ইমরান সরকারকে বিদেশে যেতে বাধা দেয়ার অভিযোগ

গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারকে বিদেশ যেতে বাধা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার উদ্দেশে বিমানে ওঠার আগে তাকে আটকে দেয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

ইমরান এইচ সরকার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের আমন্ত্রণে চার সপ্তাহের জন্য দেশটিতে যাওয়ার কথা ছিল তার। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়ার কথা থাকায় বিকাল ৪টায় তিনি বিমানবন্দরে যান।

তিনি বলেন, বিকাল ৫টার মধ্যে ইমিগ্রেশন ও বোর্ডিং পাস হয়ে গেলে বিমানে ওঠার অপেক্ষায় ছিলেন। এ সময় ইমিগ্রেশনের এক কর্মকর্তা গিয়ে তাকে ডেকে নিয়ে যান।

ইমরান সরকার বলেন, ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা তাকে বলেন- আপনি যেহেতু ইমিগ্রেশন পেয়ে গেছেন তখন তো বিদেশে যাচ্ছেন। তবে আমাদের কিছু ফরমালিটিজ আছে, আপনার সঙ্গে কথা বলব। এই বলে তারা আমাকে বসিয়ে রাখেন। তারা এই বলে আশ্বস্ত করেন যে, আমাদের সম্মতি ছাড়া প্লেন ছাড়বে না।

ইমরান সরকার আরও বলেন, এর পর বিমান ছাড়ার মিনিট দশেক আগে আমাকে বলা হয়, ওপরের নির্দেশ আছে আপনি যেতে পারবেন না।

তখন ইমরান তাকে আটকানোর কারণ জিজ্ঞাসা করলে পুলিশের ওই কর্মকর্তা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি বলে জানান তিনি।

অভিবাসন কর্মকর্তা তাকে আরও বলেন, আপনার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকলে তো আপনি ইমিগ্রেশনে ছাড় পেতেন না। এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না। উপর থেকে নির্দেশ আছে।

পরে তাকে পারিবারিক কারণ বা ফ্লাইট ছেড়ে যাওয়ায় যেতে পারেননি- এ ধরনের কারণ উল্লিখিত একটি কাগজে সই করতে বললে তিনি তা করেননি বলে জানান ইমরান এইচ সরকার।

বিমানবন্দর থেকে ফিরে আসার পর এক ফেসবুক পোস্টে ইমরান লিখেছেন- আমি বোর্ডিংসহ ইমিগ্রেশন শেষ করে বিমানে ওঠার সময় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমাকে বাধা দিয়েছে। যদিও আমার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কিংবা মামলা নেই। ইমিগ্রেশন শেষ করার পর এ ধরনের বাধার ঘটনা নজিরবিহীন।

ইমরান সরকার ফেসবুকে লিখেছেন- আমেরিকান সরকারের পররাষ্ট্র দফতরের আমন্ত্রণে অহিংস আন্দোলন, লিডারশিপ, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার নিয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়ে আজ ৪ সপ্তাহের জন্য আমার আমেরিকা যাওয়ার কথা ছিল।

‘আমি বোর্ডিংসহ ইমিগ্রেশন শেষ করে বিমানে ওঠার সময় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমাকে বাধা দিয়েছে। যদিও আমার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কিংবা মামলা নেই। ইমিগ্রেশন শেষ করার পর এ ধরনের বাধার ঘটনা নজিরবিহীন।’

তিনি বলেন, সরকারের কীসের এত ভয় আমি জানতে চাই। ১৯৫৭ সালে পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধুও একই প্রোগ্রামে আমেরিকা গিয়েছিলেন। অথচ তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বাধা দেয়নি। আমাদের অবস্থা কি এখন পাকিস্তান আমলের চেয়েও খারাপ???