ইমো হ্যাকিং চক্রের ৫ প্রতারক গ্রেফতার
নাটোরের লালপুরে ইমো হ্যাকিং চক্রের ৫ প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বুধবার তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার বালিতিতা ও মহারাজপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফজলুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে থানায় মামলা করা হয়েছে। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলহাজতে পাঠানো হয়। এলাকা ছেড়ে যারা দেশের বিভিন্ন স্থানে গা-ঢাকা দিয়েছে তাঁদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
নাটোরের গ্রেফতারকৃতরা হলেন-উপজেলার বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামে মো. রেজাউল করিমের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (২০), মহারাজপুর গ্রামের মো. সামান উদ্দিনের ছেলে মো. তারিক হোসেন (১৬), মো. মোখলেছুর রহমানের ছেলে মো. রাজু হোসেন (১৬), মো. সাজদার রহমানের ছেলে মো. আসিফ হোসেন (১৫) ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার সাতবাড়িয়া মলপাড়া গ্রামের মো. জাবের আলী মন্ডলের ছেলে মো. হারুন অর রশিদ (২৬)।
সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প, র্যাব-৫, রাজশাহী সূত্রে জানা যায়, গোয়েন্দার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোম্পনী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন ও উপ-অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে গতকাল রাতে বালিতিতা ও মহারাজপুর গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওই ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে ১০টি মোবাইল ও ১৭টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা স্বীকারোক্তি দেন যে দীর্ঘদিন যাবৎ ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে প্রবাসীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ইমো হ্যাক করে আসছিল। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন প্রতারণা করে তাঁদের পরিচিতজনদের কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়। লালপুরে ইমো হ্যাকিং চক্রের ৫ প্রতারক গ্রেফতার।
উল্লেখ্য, র্যাব-পুলিশের অভিযানে এ পর্যন্ত লালপুরের ৮৪ জন ইমো হ্যাকারকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন