ইরমার তাণ্ডবে সমুদ্র উধাও!
প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইরমা বেশ কতগুলো ক্যারিবিয়ান দ্বীপে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে এখন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে আঘাত শুরু করেছে।
উপকূলের কাছে বেশ কতগুলো ছোট দ্বীপের অবস্থা খুবই গুরুতর। দ্বীপগুলোর মানুষজনকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।
ফ্লোরিডায় অন্তত ৬০ লাখ মানুষকে নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছে – যা ওই অঙ্গরাজ্যের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ।
কী ওয়েস্টের একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন এই মুহুর্তে পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’।
তীব্র বাতাসের তোড়ে ইতিমধ্যেই অন্তত দুলাখ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ নেই। ফ্লোরিডার দক্ষিণ প্রান্তের দ্বীপগুলোতেই বাতাসের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি।
অধিকাংশ লোকজন চলে যাওয়ায় রাজ্যের প্রধান শহর মায়ামি এখন নির্জন ভুতুড়ে শহরের চেহারা নিয়েছে।
আবহবিদরা ইতিমধ্যেই সতর্ক করে দিয়েছেন, তীব্র বাতাসের ফলে উপকূলে বিধ্বংসী ‘স্টর্ম সার্জ’ আছড়ে পড়তে পারে।
এই ‘স্টর্ম সার্জে’ ঝোড়ো বাতাস সমুদ্রের জলকে ঠেলে দিয়ে প্রায় সাড়ে চার মিটার উঁচু ঢেউয়ের আকারে উপকূলে আছড়ে ফেলে।
ইরমা-র আঘাতে ফ্লোরিডার পশ্চিমাঞ্চল এখন সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে – তবে টাম্পা শহরটি অল্পের জন্য বেঁচে যেতে পারে।
এদিকে বাহামা দ্বীপপুঞ্জ থেকে আসা বিভিন্ন ছবিতে দেখা যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ইরমা-র অভিঘাতে সেখানে কোনো কোনো জায়গায় সমুদ্র বহুদূর পর্যন্ত উধাও হয়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন লং আইল্যান্ড নামে একটি দ্বীপের চারপাশে সমুদ্রের পানি যেন হঠাৎই শূন্যে মিলিয়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য জানাচ্ছেন, হারিকেনের ফলে যে প্রবল নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় তা অনেক সময় এভাবে উপকূলীয় অঞ্চল থেকে সমুদ্রের পানিকে শুষে নেয় – তখন বাইরে বেরিয়ে পড়ে পানির নিচে থাকা কর্দমাক্ত সমুদ্রতল।
বাহামার ওই সমুদ্র ও সোনালি সৈকত কীভাবে হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে – অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে তার ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছেন।
তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ের এই প্রভাবটা সাময়িক।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন