ইরানের শিয়াইজম ও আমাদের আকিদা || হাবিবুল্লাহ মারুফ
হাবিবুল্লাহ মারুফ : ইরানের শিয়াইজম ও আমাদের আকিদার সাথে বিস্তর প্রার্থক্য আছে। এ কারণে ধর্ম বিশ্বাসগত কারণে তাদের সাথে আমাদের শরীয়া ও ধর্মতাত্ত্বিক বিষয়ে অনেক মত প্রার্থক্য রয়েছে। তবে জাতীয় ঐক্য ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্স তরুণ প্রজন্মকে নিজস্ব ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক বাহক হওয়ার জন্য যে সমস্থ কর্মসূচী তাদের হাতে আছে সেগুলো মুসলিম রাষ্ট্র সমূহের জন্য অনুস্মরনীয় হতে পারে। যদি সেগুলোর ইসলামি শরীয়া অনুমোদন করে।
১. ইরানের প্রেক্ষাগৃহের পরিবেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। সিনেমার গল্প চিত্রনাট্যে ব্যক্তি জীবন পরিগঠন, চরিত্র গঠন সহ মানব জীবনের সদুপদেশ সম্বলিত উপাদানে ভরপুর। মেকাপে শালীনতা বিদ্যমান। ফলে অজু অবস্থায় মুসল্লিরা সিনেমা দেখে আবার নামাজ পড়তে পারে। এবং সেটা তারা করেও।
আমাদের তরুণ সম্প্রদায় হিন্দি ইংলিশ মুভিতে আসক্ত। ওইসব মুভিতে যে সব উপাদান থাকে তার অধিকাংশই তাদের ধর্মীয় স্মিথ, অশালীন, বেডরুম কালচার সহ চরম যৌনতার নিমন্ত্রন পত্র। সেখান থেকে তরুণরা কিছু নেয় না বিসর্জন দেয় লাজ লজ্জা ইজ্জত আব্রু বদান্যনতা। সে কারণে মুসলিম দেশ হিসাবে আমাদের এই টেরিটরিতে ইসলামি কালচারকে বেইজ করে সিনেমা নাটক তৈরী হলে রাষ্ট্রে তরুণ সম্প্রদায়কে দর্শনগত বিভক্তি দৃষ্টিভঙ্গির প্রার্থক্য থেকে রক্ষা করা সম্ভব। কালচারের নামে লম্পট্য জাতীয় চরিত্র বিধবংসি কারবারে যুক্ত হবার প্রবনতাও কমবে।
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে তরুণ তরুণীদের ইরানে গণবিবাহ দেওয়া হয়, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং অবিভাবকগণও উপস্থিত থাকে। নিঃসন্দেহে এটা অনেক উর্বর চিন্তা। কারণ আমাদের দেশে প্রগতির নামে মেয়েদের নারীবাদী হওয়ার যে বয়ান দেওয়া হয় তা মূলত ওয়েস্টার্ন কালচারাল মাফিয়াদের পেইড এজেন্টরাই দিয়ে থাকে, এবং সেসব দাওয়াত দেওয়ার গাউন্ড হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়কেই উপযুক্ত জায়গা মনে করা হয়। নারীবাদী মানে তারা বোঝাতে চায় সেপারেশন,বেপর্দা ফ্রি মিক্সসিং প্রভূতি; যার ফলে সংসার ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে ওই সব চেতনার শাহবাগ বেইলী রোড পাড়ার নারীবাদীদের।
৩. সুলতান সালাদীন রাহিমুল্লাহ মুসলিমদের আলকুদুস চেতনায় ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। যতটুকু জানতে পারি এখন হিজবুল্লাহ এবং আয়াতুল্লাহদের চেতনায় আলকুদুস বিদ্যমান। সুতরাং বিশ্বব্যাপী মুসলিম ঐক্যের চেতনায় আল আকসা চেতনাই মূলত মুসলিম এবং এন্টি মুসলিম দুই শিবিরের পরিচয় স্পষ্ট করে।
৪ অবশ্য পৃথিবীর অনেক ইসলামিক স্কলাররা আল আকসাকে মুক্ত করাকে ক্ষমতাসীন মুসলিম শাসকদের জন্য ওয়াজিব বললেও সাউদ বংশের দর্শন আল আকসাকে জয়েনিস্টদের কাছে ইজারা দেওয়া। সেই দিকটায় তাদের স্বার্থচিন্তার দিকটা এন্টি মসিলিম মুভমেন্টের দালাল অজ্ঞাবহ দাস হিসাবেই পরিচিত করে।
পৃথিবীর মুসলিম রাষ্ট্রে তরুণদের চরিত্র পরিগঠন স্ট্রং জাতীয়তাবাদ দেশাত্ববোধ এমনি এমনি তৈরী হয় না। এর জন্য বুদ্ধিভিত্তিক কর্মসূচী হাতে নিতে হয়। সে ক্ষেত্রে ইরান তুর্কির অনেক কর্মসূচীই মুসলিমদের জন্য মাইল ফলক হতে পারে। এছাড়াও তরুণদের জন্য কার্যকর গবেষনাও করতে হবে মুসলিমদের। শুধুমাত্র দলীয় জাতীয়তাবাদ বা রাজনৈতিক জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্য সম্ভব নয়। জাতীয় ঐক্যে জায়গায় ইসলামি সংস্কৃতি সেতু বন্ধক হিসাবে কার্যকর, অন্তত মুসলিমদের জন্য।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন