ইয়াহু মেইল থাকবে তো?
ইয়াহু মেইল থাকবে কি না, তা নিয়ে ব্যবহারকারীরা এখন সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের ভেরাইজনের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে ইন্টারনেটের জনপ্রিয় সেবা ইয়াহু। অনেকের প্রশ্ন, ইয়াহু মেইল থাকবে তো? কিন্তু ভেরাইজন কর্তৃপক্ষ আপাতত দুশ্চিন্তা করতে না করেছে।
ভেরাইজন কর্তৃপক্ষ বলেছে, এখনো প্রতি মাসে এক কোটির বেশি ব্যবহারকারী ইয়াহু ব্যবহার করেন। তারা ইয়াহু ব্র্যান্ড চালু রাখবে।
ইয়াহু মেইলের পাশাপাশি ইয়াহুর জনপ্রিয় ইয়াহু স্পোর্টস ও ইয়াহু নিউজ, টাম্বলার ও ফ্লিকার নামের সেবাগুলোও অধিগ্রহণ করেছে ভেরাইজন। এখন ইয়াহু সেবার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন ও উত্তর জেনে নিন।
ইয়াহু মেইলের কী হবে?
আপাতত ইয়াহু মেইল বন্ধ হচ্ছে না। আগামী জুলাই মাসের শুরুর দিকে ইয়াহু-ভেরাইজনের সব ধরনের চুক্তির কাজ শেষ হবে। ইয়াহু যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে। চুক্তি শেষ হওয়ার পর ইয়াহুর সব সেবাকে পৃথকভাবে নিজস্ব ব্র্যান্ড নামেই চলতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভেরাইজন। ভেরাইজনের মিডিয়া ইউনিট এওএলের প্রধান নির্বাহী টিম আর্মস্ট্রং এ তথ্য জানিয়েছেন। তাঁর ভাষ্য, ‘বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী একটি ব্র্যান্ড ইয়াহু। আমরা ইয়াহুতে বিনিয়োগ করব।’
ইয়াহু মেইল কি এওএল মেইল হয়ে যেতে পারে?
সম্ভাবনা কম। কারণ, ইয়াহু মেইল হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির সবচেয়ে সফল সেবা। এ মেইল সেবাটি আলাদা রাখবে ভেরাইজন।
ফ্যান্টাসি স্পোর্টস ও ফাইন্যান্সের মতো সেবাগুলোর কী হবে?
এখনো ইয়াহু ও ভেরাইজন কর্তৃপক্ষ পরিবর্তনসংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে বসেনি। তবে ইয়াহু কনটেন্ট ও অ্যাপগুলোকে আলাদা রাখার ইচ্ছা তাদের।
ইয়াহু সার্চের কী হবে? ফায়ারফক্স ব্রাউজারে কি ইয়াহু সার্চ বক্স দেখা যাবে?
ইয়াহু সার্চের ভবিষ্যৎ এখনো পরিষ্কার নয়। ইয়াহুর বর্তমান প্রধান নির্বাহী মারিসা মেয়ার ইয়াহু সার্চে প্রচুর বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু গুগলের কাছে পরাজিত হন এবং ইয়াহুর এক খাতে লোকসান বেশি। আর্মস্ট্রং বলেন, দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সার্চ নিয়ে আলোচনা হবে। ইয়াহুর সার্চ নিয়ে বেশ কিছু পণ্য বা সেবা আছে, যা এখনো উন্মুক্ত করা হয়নি। ভেরাইজন ইয়াহুর ওই সেবাগুলো মূল্যায়ন করবে। ফায়ারফক্স ব্রাউজারের নির্মাতা মজিলার সঙ্গে ইয়াহুর সার্চ চুক্তি অনুসারে ইয়াহুকে যেই কিনুক না কেন, ২০১৯ সাল পর্যন্ত সার্চ পণ্য সরবরাহে তাকে বাধ্য থাকতে হবে। চুক্তি ভঙ্গ করলে বিশাল অর্থ মজিলার পাওনা হবে।
ব্যক্তিগত তথ্যের কী হবে?
ওয়েব ব্যবহারের তথ্যগুলো মোবাইল অপারেটর ভেরাইজনের সঙ্গে বিনিময় করার বিষয়টি নিয়ে নানা দুশ্চিন্তা রয়েছে। গত মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন ভেরাইজনকে ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়া মোবাইল ব্রাউজিং অভ্যাসের তথ্য অনুসরণ করায় বিশাল জরিমানা করেছিল। বর্তমানে ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়া বিভিন্ন ব্যবসা ইউনিটের মধ্যে তথ্য বিনিময় করা ভেরাইজনের জন্য নিষিদ্ধ। এফসিসি ডেটা শেয়ারিংয়ের নিয়ম আরও বিস্তৃত করার পরিকল্পনা করলেও ভেরাইজনকে কয়েকটি কোম্পানি নিয়ম শিথিল করতে তদবির চালাচ্ছে।
নিউইয়র্ক টাইমস অবলম্বনে মো. মিন্টু হোসেন
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন