ঈদযাত্রা: পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় দুর্ভোগ আরও বাড়ার শঙ্কা
শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুটের যানবাহনের বাড়তি চাপ আর তীব্র স্রোতে ফেরির ট্রিপ সংখ্যা কমে যাওয়ায় ভোগান্তি বেড়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে। বাড়তি প্রস্তুতি হিসেবে ফেরি সংখ্যা বাড়ানো হলেও কোরবানির পশুবাহী ট্রাক পারাপার বেড়ে যাওয়ায় যানবাহনগুলোকে ঘাটে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এই নৌ-রুটে ঈদের সময় যাত্রী দুর্ভোগ আরো বাড়ার শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
পরিবহন যাত্রী ও চালকরা জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে কয়েকদিন ধরে পারাপারে তাদের বেশ ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। ফেরি পারের অপেক্ষায় পাটুরিয়া ঘাটে দেড় থেকে ২ ঘণ্টা এবং দৌলতদিয়া ঘাটে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা আটকে থাকতে হচ্ছে।
পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনে কিছুটা শৃঙ্খলা থাকলেও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দৌলতদিয়া ঘাটে। বাস, গরুর ট্রাকসহ সব যানবাহনকে একই লাইনে ফেরি পারের অপেক্ষায় থাকতে হয় বলে সময় বেশি লাগছে। ফলে ঈদযাত্রায় এবার ভোগান্তি আরো বাড়ার শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
গোপালগঞ্জগামী যাত্রী রাবেয়া বেগম জানান, ঘাটের বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ঈদের সময় ঘরমুখো মানুষকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হবে। তাই কর্তৃপক্ষকে এখনই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অঞ্চলের ম্যানেজার (মেরীন) আব্দুস সাত্তার জানান, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুটের অনেক যানবাহন বিকল্প পথ হিসেবে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবহার করছে। একইসঙ্গে নদীতে স্রোত বেড়ে যাওয়ায় ফেরি পারাপারে আগের চেয়ে প্রায় দেড়গুন সময় বেশি লাগছে। ফলে ফেরির ট্রিপ সংখ্যা কমে গেছে। এছাড়া অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোরবানির পশুবাহী ট্রাক পারাপার করতে গিয়ে যানবাহনগুলোর পার হতে সময় লাগছে বেশি।
পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সিসি ক্যামেরায় ঘাট মনিটরিং করা হচ্ছে। এরইমধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশও।
পাটুরিয়া ঘাটে দায়িত্বপালনকারী জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর গোলাম আম্বিয়া জানান, ঈদের সময় যানবাহনের চাপ আরো বাড়লেও অপেক্ষমান গাড়ির সারি দীর্ঘ হবে। পরে এসে আগে যাওয়া কিংবা এলোপাতারি ভাবে যানবাহন রাখার কোনো সুযোগ দেয়া হবে না।
বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. মফিজুল হক জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে রোজার ঈদের সময় ২০টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হয়। এবার যেহেতু শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুটে সমস্যা রয়েছে এ জন্য এই রুটে ২২টি ফেরি চলাচল করবে। যানবাহনের বাড়তি চাপ থাকলেও ফেরির লোড-আনলোডে যাতে সময় কম লাগে এ জন্য সবাইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, শত সীমাবদ্ধতার মাঝেও নৌ-পথে ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নিবিঘ্ন করতে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তারা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন