ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গাইবান্ধায় কোরবানীর সরঞ্জাম তৈরীতে কামারশালা গুলো ব্যস্ত সময় পাড় করছে
ক্ষুদ্র লৌহজাত শিল্পের উপর নির্ভরশীল গাইবান্ধার গ্রামগঞ্জের পেশাদার কামারদের কামারশালাগুলো এখন লোহার নানা জিনিস তৈরীর টুংটাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে। কামাররাও তাদের ব্যবসার ব্যস্ত সময় পাড় করছে। কেননা সামনেই ঈদুল আজহা। কোরবানীর জন্য দা, বিভিন্ন সাইজের চাকু, ছোড়া ও বটির এখন ভীষণ চাহিদা। ফলে রাতদিন কাজ চলছে এখন কামারশালাগুলোতে।
গাইবান্ধার হাট-বাজারগুলোতেও কোরবানীর সরঞ্জাম বিক্রির নতুন নতুন দোকান বসেছে। এমনকি শহরের রাস্তার ধারেও বসেছে দোকান। ক্রেতারাও প্রয়োজন মত দেখে শুনে কিনছে তাদের কোরবানীর সরঞ্জাম। এদিকে ঈদে দা, বটি, ছোরা, চাকুর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় তৈরীর সরঞ্জাম কাঁচা লোহার দামও বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়িরা। ফলে বগুড়া, রংপুর থেকে স্থানীয় কামারদের বেশী দামে কিনতে হচ্ছে কাঁচা লোহা। এতে এসব সরঞ্জাম তৈরীর উৎপাদন ব্যয়ও অনেক বেড়ে গেছে। এজন্য সংগত কারণেই ক্রেতারা বেশী দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছে কোরবানী ঈদের অতি প্রয়োজনীয় এসব সরঞ্জাম।
জেলা শহরের কাচারি বাজার রাস্তার ধারে দোকান দিয়ে কোরবানীর এসব সরঞ্জাম বিক্রি করছে মমিনুল ইসলাম। সে জানায়, এখন অল্প স্বল্প বেচাকেনা শুরু হলেও ঈদের তিনদিন আগে থেকেই বিক্রি আরও কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। সাধারণত বিভিন্ন এলাকার কামাররা তার দোকানে এসেই এসব সরঞ্জাম বিক্রি করে যায়। প্রয়োজনে সে নিজেও কামারশালায় গিয়ে সংগ্রহ করে নিয়ে আসে। এদিকে ঈদ উপলক্ষে মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কোরবানির একটি ছোরা ৩৫০ থেকে ৪শ’, বিভিন্ন সাইজের চাকু ৩০ থেকে ১শ’ টাকা, বটি ১শ’ থেকে ৩৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম আরও বাড়বে বলে সে জানায়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন